কামাল হোসেন: [২] ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছরেও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মিত হয়নি কোসো শহীদ মিনার। বিশেষ করে এ উপজেলার ৫টি কলেজের একটিতেও নেই শহীদ মিনার। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই এমন অবস্থা। ফলে ওইসব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষ দিবসগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
[৩] সরকারিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বাঙালি জাতির গর্ব ও অহংকারের দিন একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করার নির্দেশনা থাকলেও এবার গোয়ালন্দ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার না থাকায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
[৪] উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৭৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৫১টি যার মধ্যে শহীদ মিনার আছে মাত্র ৬টিতে, মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে ১৭টি যার মধ্যে শহীদ মিনার আছে মাত্র ৫টিতে এবং কলেজ রয়েছে ৫টি যার একটিতেও নেই কোন শহীদ মিনার। সব মিলিয়ে ৭৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬২টিতেই নেই শহীদ মনিার।
[৫] এ বিষয়ে গোয়ালন্দ সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম তালুকদার বলেন, অর্থ সংকটের কারণে সুষ্টিলগ্ন থেকে অধ্যবদি শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা-সমালোচনা চললেও এ বিষয়ে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
[৬] এ বিষয়ে অভিভাবক, স্কুল ও কলেজের শিক্ষকরা জানান, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকা খুবই দুঃখজনক। স্কুল, কলেজগুলোতে শহীদ মিনার না থাকার পেছনে ওই সকল প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে, এখানে অর্থের সংকট কোনো বিষয় না।
[৭] এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি ,বাজেট ঘাটতি রয়েছে যার কারণে এই মূহুর্তে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে খুব দ্রুতই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি