জাহাঙ্গীর লিটন: লক্ষ্মীপুরে কেরোসিন তেল ঢেলে রাশেদা বেগম নামে এক গৃহবধূর শরীরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে রাশেদার শরীরের ৫০ ভাগ ঝলসে গেছে। এ ঘটনায় রাশেদার ভাই বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত ১ নং আসামী মাইনুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন মামলা এবং গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউভূতি গ্রামে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কেরোসিন ঢেলে রাশেদার শরীরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
রাশেদা চরউভূতি গ্রামের জাহের হোসেনের স্ত্রী। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তার অবস্থা আশংকাজনক।
আসামিরা হলেন মাইন উদ্দিন, শাহজাহান, লিটন- আশরাফ সহ অজ্ঞাত ৫ জন। আসামিরা সবাই রাশেদার দেবরের শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেবরের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে রাশেদার শ্বশুর বাড়ির বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে দেবরের শ্বশুর বাড়ির লোকজন রাশেদার শরীরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় দ্রুত অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। আগুনে শরীর ঝলসে যাওয়ায় রাশেদার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। রাশেদা তখন অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় বলে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.আনোয়ার হোসেন বলেন, আগুনে রাশেদার শরীরের ৫০ ভাগই পুড়ে গেছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকের বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত মামলার এজাহারভুক্ত ১নং আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে,অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :