নিঝুম মজুমদার : তাহলে সরল বাংলায় যা বুঝলাম তা হচ্ছে যেহেতু হারিস আহমেদ, আনিস আহমেদ এবং তোফায়েল আহমেদ জোসেফ-এর সাজা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী (২০১৯ সালের মার্চে) রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মাফ হয়ে গেছে। ফলে আল জাজিরার পুরা ডকুমেন্টারী-ই মিথ্যা প্রমাণিত হলো।
আজকে সেনা প্রধানের এই বিষয়ক শর্ট ইন্টারভিউতে জানা গেলো যে, তিনি তাঁর ভাইদের সাথে যে মালেশিয়াতে দেখা করেছেন কিংবা তাঁর ভাইরা যে তাঁর ছেলের বিয়েতে এসেছেন এসব কোন সময়-ই একজন পলাতক আসামির সাথে তিনি দেখা করতে যাননি কিংবা কোনো পলাতক আসামিও ভাতিজার বিয়ে খেতে আসেননি। একইসঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রপতি যে ওই একই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন সেখানে কোনো পলাতক আসামিও ছিলেন না। একেবারে খাঁটি আইন-কানুন-সংবিধান সব কিছু বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্তে আসাই যায় যে, আল জাজিরা তাহলে পুরো একটা মিথ্যা ডকুমেন্টারি দেখিয়েছে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যের উপর।
আল-জাজিরার বিরুদ্ধে যদি আইনি পদক্ষেপগুলো এখন নেওয়া হয়, তাহলে আমি নিশ্চিত, একটা হিউজ লেভেলের ক্ষতিপূরণ আদায় করা সম্ভব এবং সেই আইনি প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের ভাবা উচিত। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসবে যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এই সাজা মওকুফ সঠিক হয়েছে কিনা কিংবা কীভাবে হয়েছে অথবা কেন হয়েছে। এই প্রশ্ন স্বাভাবিক এবং তা উঠতেই পারে।
কিন্তু যারা এই প্রশ্ন করবেন, তাঁরা যেন প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেন শুরুতেই যে, আল-জাজিরার ডকুমেন্টারি দেখার পর যারা সেনা প্রধানের পিন্ডি চটকালেন এই বলে যে, সেনা প্রধান পলাতক আসামীদের সাথে দেখা করেছেন কিংবা নিজের ছেলের বিয়েতে যুক্ত হবার অনুমতি দিয়েছেন, তারা এখন কী বলবেন? যদি হারিস, আনিসদের আইন অনুযায়ী সাজা মওকুফ হয়েই থাকে তাহলে সমস্ত অভিযোগই তো তাসের ঘরের মতো ঝর ঝর করে ঝরে পড়ে। অভিযোগকারীদের সমস্ত উচ্ছাস-আনন্দ তো মাটি চাপা পড়ে যায়। নাকি ভুল বললাম? ফেসবুক থেকে