ইমরুল শাহেদ: এমনটাই জানালেন টিভি অভিনেত্রি শর্মী ইসলাম। বড় পর্দা বাদ দিয়ে পারফর্মিং আর্টের সব ক’টি শাখাতেই তিনি সদর্পে বিচরণ করছেন। কখনো নাটক, কখনো ওভিসি-টিভিসি, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, মিউজিক ভিডিও - কোথায় নেই তিনি। আর কোনো পালা-পার্বন হলেতো কথাই নেই।
মাত্র দুদিন আগে চলে গেল ভ্যালেন্টাইন ডে এবং শুরু হলো ঋতুরাজ বসন্তের বার্তা নিয়ে আসা ফাল্গুন। সে উপলক্ষ্যে তিনি কাজ করেছেন রাজু আহমেদের পরিচালনায় দুটি মিউজিক ভিডিও, এস কে হাবিবের পরিচালনায় একটি ওভিসি, রিমন খানের পরিচালনায় চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, সঞ্জয় কবিরের পরিচালনায় নাটক ‘শেষ বিকেলের চিঠি’। নাটকটির কাজ পহেলা ফাল্গুন ও ভ্যালেন্টাই ডে’কে সামনে রেখে শুরু হলেও শেষ করা যায়নি। এ মাসের শেষ দিকে বাকি অংশের শুটিং হবে। কাজের প্রতি নিবেদিত প্রাণ শর্মী ইসলাম কাজের বাইরে একটি ঘন্টাও অপচয় করতে আগ্রহী নন।
পরিবারকে সময় দেওয়াও তার জন্য কষ্টের হয়ে যায়। শর্মী মনে করেন, ক্যারিয়ারকে নান্দনিক করে গড়ে তুলতে হলে সময় এবং শ্রম - দুটোই দিতে হবে। এভাবেই তিনি তিলে তিলে হয়ে উঠতে চান তিলোত্তমা। শর্মী ইসলাম বলেন, ‘ক্যারিয়ারকে আমি সুন্দর ও সুশৃংখল করে গড়ে তুলতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করব। শুরুটা করতে চাই ভালোভাবে। শুরুতে সফল হতে চাই। আমার প্রথম কাজ দেখে সবাই যেন বলে, না মেয়েটি সক্ষম এবং দক্ষ একজন অভিনেত্রী।’ প্রশ্ন শর্মী ইসলাম শুধু কাজের প্রতি আগ্রহীই নয়, সেই আগ্রহকে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তিনি দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে এবং তা অত্যন্ত নীরবে।
তিনি নিজেকে ভাঙ্গতে পারেন, যা সকলে পারে না। আর ভাঙতে পারেন বলেই উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলোতে অবলিলায় পদচারণা করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘স্ক্রিপ্ত হাতে পাওয়ার পর আমি চরিত্রটিকে নিয়ে ভাবি, কিভাবে সেটা করব তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করি। তারপর সে চরিত্রে কাজ করি। আমার কাজ দর্শক নিশ্চয়ই পছন্দ করে। না হলে আমার হাতে এতো কাজ আসবে কেন?’ তিনি বলেন, ‘ব্যস্ততাকে আমি ভাগ্য প্রসূত মনে করি। কথায় আছে, হাতে পাওয়া ল²ী পায়ে ঠেলতে নেই।’
আপনার মতামত লিখুন :