মামুনুর রশিদ: [২] ভোট কেন্দ্র দখল, বহিরাগতদের অবাধে জাল ভোট দেয়ায়, ব্যালেট পেপার-সীল ছিনতাইসহ নানা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
[৩] রোববার (১৪ ফেব্্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলে। বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ২টি কেন্দ্রে। এরমধ্যে অনিয়মের অভিযোগে বেলা একটায় পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠালিয়া মোহাম্মাদিয়া হাফেজিয়া নূরানী মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
[৪] কয়েকটি কেন্দ্রে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলা গুলি হয়েছে। সরকার দলীয় আব্বাস উদ্দিন নামে এক সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সকাল ৯ টার দিকে পৌরসভার কৌশল্যারবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থী কামাল হোসেন পাঞ্জাবী প্রতিকের সমর্থকরা ও সংরক্ষিত কাউন্সির প্রার্থী রওশন আরা পুতুল চশমা প্রতিকের সমর্থকরা জাল ভোট ও ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়।
[৫] নৌকার সমর্থক আব্বাস উদ্দিন নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ ও ৬ জন গুরুত্বর আহত হয়। ৮ নং ওয়ার্ড কাঠালী মোহাম্মদীয়া হাফিজিয়া নুরাণী কুরআন এতিম খানা মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট চলে। এরপরই নৌকা ও কাউন্সিলর প্রার্থী হাফেজ দুলাল উটপাখি প্রতিকের সমর্থকরা ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়।
[৬] কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালেট পেপার ও সীল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে প্রিজাইডিং অফিসার জসিম উদ্দিন মজুমদার ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন। ৭ নং ওয়ার্ড সুফিয়া খাতুন ক্যাডেট স্কুল এন্ড মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্রে বেলা ১১ টায় বহিরাগতরা দখলে নেয়। কাউন্সিলর প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মানিক ডালিম প্রতিকের নির্বাচনি কার্যালয় ভাংচুর করে। এসময় তার ২ সমর্থকে বেধম প্রহার করা হয়। সম্পাদনা: আঞ্জুমান আরা