শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘি‌রে রাতে বিভিন্ন জায়গায় ককটেল, বাসে আগুন, মশাল মিছিল ◈ মীর মুগ্ধর ভাইয়ের দাবি: ‘হাসিনার অপরাধে হাজারবার ফাঁসিও যথেষ্ট নয়’ ◈ উৎকণ্ঠা ভারতের সংবাদ মাধ্যমে: ‘হাসিনার কি মৃত্যুদণ্ড হবে?’ ◈ আমার প্রত্যাশা আমার ক্লায়েন্ট শেখ হাসিনা খালাস পাবেন, এটা আমি বিশ্বাস করি: রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ◈ ইতালিকে ৪-১ গো‌লে হা‌রি‌য়ে বিশ্বকাপে নরওয়ে ◈ মধ্যরাতে কিশোরগঞ্জের গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন ◈ পা‌কিস্তা‌নের কা‌ছে হোয়াইটওয়াশ হ‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ পটুয়াখালীতে গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় অগ্নিসংযোগের চেষ্টা ◈ শেখ হাসিনার গড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আলোচিত যতো রায় ◈ এবার আইপিএলে ৭৭ ক্রিকেটার নিলামে বিক্রি হবে, ২৩৭ কোটি রু‌পি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতে

প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৯:৩৪ সকাল
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৯:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] গণমাধ্যমের কাজ সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, বাধাকে অতিক্রম করাই সাংবাদিকতা: শশি থারুর

আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বাংলাদেশি দৈনিক ডেইলি স্টারের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকির আলোচনা সভায় এই কথা বলেন ভারতের ননিন্দত ঔপন্যাসিক, লেখক, বক্তা ও এমপি শশি থারুর। পত্রিকাটির সম্পাদক মাহফুজ আনামের সঙ্গে আলাপচারিতায় দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন তিনি।

[৪] শশি থারুর শুরুতেই কথা বলেন লেখক আর রাজনীতিবীদ সত্ত্বার দ্বন্দ্ব নিয়ে। তিনি বলেন, লেখক আর রাজনীতিবীদের সত্ত্বার মাঝে ব্যালেন্স করা সহজ নয়। কখনও একটিকে বেঁছে নিতে হয়। তবে সবকিছুর উপরে মানবিক সত্ত্বাকে রাখতে হয়। আমি একজন সাবেক মন্ত্রী, হয়তো একদিন সাবেক এমপিও হয়ে যাবো। কিন্তু আশা রাখি, আমি কখনও সাবেক লেখক হবো না।

[৫] তিনি বলেন, অবশ্যই কখনও কখনও ত্যাগ করতে হয়। আমার দায়িত্ব নিজের পার্টির প্রতি বিশ্বস্ত থাকা। একই সঙ্গে দেশের প্রতি বিশ্বস্ত থাকাও জরুরি। আমি পার্টির সিদ্ধান্তে একমত হই। হতে হয়। খুব বেশি দ্বন্দ্ব কাজ করলে আমি পার্টির বিরুদ্ধে যাই না, নিজের বিরুদ্ধেও যাই না। আমি চুপ থাকি।

[৬] ‘গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিক্রি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য নয়। হয়তো ছোট একটি ওয়েবসাইট কথা বলছে, কিন্তু বলছে তো। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অবশ্যই ভয়হীন সাংবাদিকতা আছে। কেউ না কেউ সবসময়েই থাকে। ’

[৭]‘ভারতে নরেন্দ্র মোদীর মতো লোক আছে, যে কিনা নিজেকে জনতার আওয়াজ মনে করে। গণমাধ্যমের কাজ হলো, তাকে চোখে আঙুল দিয়ে ভুল ধরিয়ে দেওয়া।’

[৮] ‘আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম, প্রথম বছরেই আমি গণমাধ্যমের প্রিয় লক্ষ্য ছিলাম। আমি ধরে নিয়েছিলাম, এটা আমার রাজনীতি করার মূল্য। গণমাধ্যমের অধিকার আমার সমালোচনা করার। আমি পশ্চিমে বহুদিন কাটানোর কারণে এটি জানতাম ও মানতাম।’

[৯] শশি থারুর আরও বলেন, ‘তবে বিপদ হয়, কোনও দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে। যেমন বিজেপির বিরুদ্ধে কিছু লিখলে একজন সম্পাদকের কর নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। বর্তমানে ভারতের নেতা নিজেকে অবিসংবাদিত নেতা মনে করেন। তিনি গেটকিপার মিডিয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তিনি ইতিহাসের একমাত্র ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি কখনই সংবাদ সম্মেলন করেননি। তিনি স্বাক্ষাৎকার দেন বেছে নেওয়া মানুষদের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা সাংবাদিক নন। তারা চলচিত্র তারকা, গিতিকার, সংগীতশিল্পী। তারা তাকে আগেই প্রশ্ন দিয়ে দেন। এমনকি অনুবাদ করেও দেন। এটিকেই মোদী সাংবাদিকতা মনে করেন। আমি জানি না, বাংলাদেশে এমন হয় কিনা। কিন্তু এটাতো ভয়ঙ্কর ব্যাপার।’

[১০] ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু এতে আমি শঙ্কিত। তবে সোশ্যাল মিডিয়া সমাজকে বদলে দিতে হবে। মোদী তার ক্যাবিনেটের সব মন্ত্রীকে টুইটার বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য করেছেন। কিন্তু তিনি তাদের প্রেস কনফারেন্স করতে বাধ্য করেন না। তমার মানে সরকারের কাছে মূল ধারার গণমাধ্যম এখন প্রথম গুরুত্ব পায় না। এই সুযোগে ফেসবুকে ভয়াবহ পরিমাণ মিথ্যা সংবাদ ছড়ায়। আরও খারাপ অবস্থা হোয়াটসঅ্যাপে। ডেইলি স্টারে রিপোর্টার কোনও নিউজ আনলে সাব-এডিটারকে না দেখিয়ে তোমরা কি ছেড়ে দাও?’

[১১] ‘করোনার সময়ে অনলাইনে সরকারের নজরদারি বেড়েছে। কে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করছে তার দেখছে সরকার। এমনকি অনলাইনে মিটিং করায় তার তথ্যও জানা সম্ভব। সরকার এআই টেকনলজি ব্যবহার করে যেমন দাঙ্গাকারীদের শনাক্ত করতে পারে, তেমনি শনাক্ত করতে পারে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের। এটি গণতন্ত্রের জন্য ভয়ঙ্কর।’

[১২] ‘যেখানে পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্টি শাসন করে, সেখানে নিজেদের মত মানিয়ে নেওয়া কঠিন। কিন্তু তবুওতো পার্লামেন্টে তো আমরা কথা বলতে পারি। এটিা দরকার আছে। তবে আমাদের দেশে বিরোধীতা করলেই রাষ্ট্রবিরোধী তকমা দেওয়া হয়। আমার বিরুদ্ধে এরকম ৫টি মামলা আছে। ’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়