সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, অতীতেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হয়েছিলো। যা পরে মিথ্যা প্রমাণিত হয় এবং আল জাজিরার আজগুবি রিপোর্টও মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে। দেশে বিদেশে একটি রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহল সরকার ও আওয়ামী লীগের ঐক্যে ফাটল ধরানোর জন্য সুগভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আওয়ামী লীগ দেশের মাটি ও মানুষের দল। এই দলের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সুদৃঢ় ভাবে ঐক্যবদ্ধ। এ ঐক্যে ফাটল ধরানোর কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।
[৩] ১১ ফেব্রুয়ারী বসুরহাট পৌর মেয়রের গাড়ীতে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, সিএমপি কমিশনার ও ফেণীর পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তদন্ত করার মাধ্যমে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন কাদের।
[৪] ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। দলীয় অফিসে কোনো নেতাকর্মীকে পুলিশ দিয়ে ডাকার দৃষ্টান্ত নেই। কাউকে সাংগঠনিক প্রয়োজন হলে অফিস থেকে এসএমএস অথবা ফোন করে ডাকা হয়। আওয়ামী লীগের যে সব শাখায় সাংগঠনিক সংকট রয়েছে। সে সব শাখায় ২১ফেব্রুয়ারির পর অনুষ্ঠেয় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় সংকট নিরসনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
[৫] তিনি বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির জন্যই আন্দোলন ও নির্বাচনে বিএনপি বার বার পরাজিত। শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব উন্নয়নে জনগণ খুশি। এটাই বিএনপির অন্তরজ্বালার কারণ। সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচনগুলোতে বিএনপির পরাজয় হয়েছে, তাদের অপরাজনীতির জন্য। সামনের নির্বাচনগুলোতেও পরাজয় নিশ্চিত জেনে নিজেদের রক্ষা করার জন্য অপপ্রচারে নেমেছে তারা। দেশে-বিদেশে এখন বিএনপি অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে। তারা কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য নেতারা হাকডাক দিচ্ছে। কিন্তু তাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া নেই। সরকারের পদত্যাগ নয়। বিএনপির মত দলকে জনবিচ্ছিন্ন করার জন্য তাদের টপ টু বটম নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত।
[৬] শুক্রবার তাঁর বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।