আশরাফ আহমেদ: [২] কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভা নির্বাচনে এবার লড়াই হবে আওয়ামী লীগ (নৌকা) আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী (নারিকেল গাছ)। এ নির্বাচনে তিনটি রাজনীতি দলের ৩জন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ মেয়র পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়াও কাউন্সিলর পদে ৩২ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২ জনসহ মোট ৪৮ জনপ্রার্থী পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
[৩] আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন মনোনয়ন জমা দিলেও বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থীকে এম শফিকুল হক তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় অবশেষে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
[৪] আওয়ামী লীগের নৌকা থেকে লড়ছেন বর্তমান মেয়র মো. আব্দুল কাইয়ুম খোকন, বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে সাবেক মেয়র মো. মাহবুবুর রহমান।আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এবারও নারিকেল গাছ নিয়ে লড়ছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ হোসেন হাছু। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মাওলানা আসাদুজ্জামান।
[৫] পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে পৌর এলাকায় সর্বত্র পোস্টার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।বিগত নির্বাচনে৫৬ ভোটে হেরে যাওয়া সৈয়দ হোসেন হাছু এবার আশাবাদী যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তবে নৌকা ও ধানের শীষ মিলে যে পরিমাণ ভোট পাবে তিনি একাই সে পরিমাণ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবেন।
[৬] ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ নেতাআব্দুল কাইয়ুম খোকনের পক্ষে তার কর্মী-সমর্থক ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখর গোটা পৌর শহর। বিএনপি প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মাহবুবুর রহমান পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর প্রথম নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন।তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা তার পক্ষে কাজ করছে না।সৈয়দ হোসেন হাসুর পক্ষে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতারা তার স্বপক্ষে জোরালো কাজ করে যাচ্ছেন।
[৭] স্থানীয় ভোটাররা জানান,এবারের পৌরসভা নির্বাচন দ্বিমুখী’ লড়াই হবে। তবে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলেবিদ্রোহী প্রার্থীর জয়ের পাল্লা ভারি হবে বলে জানান তারা।
[৮] নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বিরামহীন প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় মুখর পৌর এলাকায় যেনো উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দিনব্যাপী ভোটারের ঘরে ঘরে গণসংযোগ শেষে রাতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা। এলাকার উন্নয়নে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ভোটাররাও তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরছেন। ২০০৬ সালে উপজেলা সদরকে পৌরসভায় রূপান্তর করা হয়। উপজেলা সদরের ৬.৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভায় বর্তমান ভোটার ২০হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ২০০, নারী ১০ হাজার ১৭৯
[৯] সহকারী রিটার্নিং ও হোসেনপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফা আক্তার জানান, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা এই পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন নিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুতি চলছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী