রাজু চৌধুরী : চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে বসে চুরির পরিকল্পনা, হাজতবাস থেকে এসে চুরি করে আবারো পুলিশের হাতে ধরা। চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তাদের আটকের বিষয় এবং অপরাধ সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হয়। আটককৃতরা হলেন, মো. আব্দুল আজিজ (৩৩), বশির ওরফে বাচ্চু ওরফে বশর (৪৮), সুমন ধর (৩৬) ও সুমন সাহা (৩৪)। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন জানান, একটা চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ তদন্তে নেমে মোঃ মুছা নামের এক সিএনজি চালককে আটক করে। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অনুযায়ী বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি বলেন, টিম কোতোয়ালীর এসআই সুকান্ত চৌধুরী, এসআই মোঃ মোমিনুল হাসান, এএসআই অনুপ কুমার বিশ্বাস, এএসআই রুহুল আমিন, এএসআই মাসুদ আলম সরকার, এএসআই দিদারুল ইসলাম, এএসআই সুকুমার দাস অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল আজিজ ও বশিরকে আটকের পর তাদের এর প্রদত্ত তথ্য মতে এর হাটহাজারী থানা, পাঁচলাইশ থানা ও বায়েজিদ থানাধীন সহ একাধিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চুরি যাওয়া ৩১ ভরি সোনার মধ্যে ২৩ ভরি ১৫ আনা ২ রত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে এবং প্রদত্ত তথ্য মতে সুমন সাহা (৩৪) কে কোতোয়ালী থানাধীন হাজারী গলি এলাকা এবং সুমন ধর সহ চোরাইকৃত স্বর্ণ গলিত অবস্থায় ২৩ ভরি ১৫ আনা ২ রত্তি ওজনের ০১টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
ওসি নেজাম উদ্দীন আরও বলেন, মোঃ আব্দুল আজিজ (৩৩) বশির প্রকাশ বাচ্চু প্রকাশ বশর (৪৮) ওসমান (৩৫) পেশাদার চোর। তারা আগেও বেশ কয়েকবার চুরির অপরাধে জেল খাটে। কয়েক মাস পূর্বে জেলখানায় থাকা অবস্থায় আসামী সুমন ধর (৩৬) এর সাথে জেলখানায় তাদের পরিচয় হয়। আসামী সুমন ধর (৩৬) তার ১ম স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় জেলহাজতে ছিল। আসামী সুমন ধর (৩৬) স্বর্ণের কারিগর। সে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে স্বর্ণের কারখানায় স্বর্ণের কারিগর হিসেবে কাজ করে। জেলখানায় বসে তারা ৪ জনেই চুরি করে চোরাই স্বর্ণ বিক্রয়ের একটি পরিকল্পনা করে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছুদিন পর তারা সকলে জামিনে বের হয়ে আসামী আজিজ, বশির ও ওসমানগণ মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাসা/বাড়ি রেকি করত।
তারা যে বাসায় কোন লোকজন দেখত না সে বাসা টার্গেট করত। চুরি শেষে হাজারী গলিস্থ বিজয় বিতান মার্কেটের ৩য় তলায় ৮নং দোকান (খাটি কারখানা) ঘরের সুমন সাহা (৩৪) এর কাছে নিয়ে তা গলিয়ে ফেলত। পরবর্তীতে গলিত স্বর্ণ কমদামে বিক্রি করত। আসামী আজিজ, বশির, ইউসুফ এইভাবে নগরীর সদরঘাট, কোতোয়ালী এলাকায় আরো ৫/৭টি চুরি করেছে করেছে বলে স্বীকার করে। পলাতক আসামীর গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি।