বগুড়া প্রতিনিধি: [২] প্রাচীন কাল প্রায় পাঁচশত বছর পূর্ব থেকে সনাতন ধর্মালম্বীরা তাদের রিতি অনুযায়ী ঢাকঢোল পিটিয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায়, মাঘ মাসের শেষ বুধবার অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার সন্যাসী পূজার মধ্যে দিয়ে পূর্ব বগুড়া গাবতলীর ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] মেলা পরিচালনা করতে আয়োজকরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং মেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আছে পুলিশ। মেলার আশপাশের গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে আত্মীয় স্বজনদের মিলন মেলা। উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের অনÍর্গত গোলাবাড়ী বন্দর সংলগ্ন গাড়ীদহ নদী ঘেঁষে সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানা জমিতে একদিনের জন্য মেলাটি বসে।
[৪] মেলাটি একদিনের হলেও অত্র এলাকায় মেলার আমেজ থাকে সপ্তাহ ব্যাপী। মেলা উপলক্ষে খরচের জন্য নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার বছরের শুরু থেকে মাটির ব্যাংক অথবা বাঁশের খুঁটির মধ্য সাধ্যমতে অল্প অল্প করে টাকা-পয়সা জমা রেখে মেলার সময় বের করে।
[৫] এই মেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার দুর্গাহাটা, বাইগুনি, সুবোধ বাজার এবং দাড়াইল বাজারসহ কয়েকটিস্থানে অবৈধভাবে মেলা বসানো হয়। ওই স্থানে অবৈধভাবে মেলা বসানোর কারনে চরম হুমকির মূখে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলাটি। পোড়াদহ মেলায় প্রসিদ্ধ হলো বড় বড় মাছ, হরেক রকম মিষ্টি, কাঠ বা ষ্টীলের ফার্নিনচার, বড়ই (কুল), কৃষি সামগ্রীসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ও খাদ্য দ্রব্য হাট-বাজারের ন্যায় কেনা-বেচা করা হয়। এ ছাড়াও বিনোদনমূলক সার্কাস, মোটরসাইকেল-কার, নৌকা খেলা ও নাগোরদোলার আয়োজন করা হয়েছে।
[৬] মেলাটি জন্মের পর থেকে মহিষাবান গ্রামের মন্ডল পরিবার পরিচালনা করে আসছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মেলার অনুমতি দেয়া হয়। যে কারনে মহিষাবান ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম মেলাটির নেতৃত্বে রয়েছেন।