রাশিদুল ইসলাম : [২] মিয়ানমারে ক্যু হওয়ার পর প্রথমে দু’চার জন তরুণ থালা বাসন পিটিয়ে অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। এরপর প্রতিবাদকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। শিক্ষক, চিকিৎসক সহ পেশাজীবীরা যোগ দিতে থাকে এসব প্রতিবাদে। প্রতিবাদ দানা বেধে উঠে বিক্ষোভে রুপ নেয়। ইতিমধ্যে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে। শেষ মেষ সেনাবাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, বাড়ি চলে যান, নইলে সেনা অ্যাকশন। সিএনএন/বিবিসি/প্রেসটিভি
[৩] বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে সেনাবাহিনী বলেছে, আপনারা বাড়ি চলে যান, না হলে সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করতে হবে। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেয় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম। তবে তা উপেক্ষা করে টানা চতুর্থ দিনে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিক্ষোভকারীদের ভিড় আরও বেড়েছে।
[৪] এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মিয়ানমার জুড়ে ধর্মঘটের ডাক। রাজধানী নেপিদোতে সমবেত লাখ লাখ বিক্ষোভকারী ফুঁসে উঠছে। অন্যান্য শহরেও বিপুল সংখ্যক মানুষ সমবেত হয়ে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছে। দাঙ্গা পুলিশকে জনগণের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায় বিক্ষোভকারীরা।
[৫] ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে শ্রমিকেরাও। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয় ইয়াঙ্গুন আর মান্দালয় শহরেও। গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। ঘোষণা করা হয় এক বছরের জরুরি অবস্থা।
আপনার মতামত লিখুন :