রেজা আলী পাটওয়ারী : পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সংসদে শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। ওই রাতে কোথায় ছিলেন। আমতা-আমতা করতেই শেখ হাসিনা উনার সোর্সের সূত্র দিয়ে উনি যে নিজ বাড়িতে ছিলেন না তা নিশ্চিত করেছিলেন। এর পরেই অবৈধভাবে (এরশাদের কোনো এখতিয়ার ছিল না তা প্রদান করার) দখলকৃত উপ-প্রধানের সেনা প্রদান, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও জিয়া এই বাড়ি দখল করে রেখেছিলেন) বাড়ি হতে এক কাপড়ে খালেদাকে স্ব-পরিবারে উচ্ছেদ। তার পর থেকে বিএনপি টিকে আছে শেখ হাসিনার করুণায়। ক্যান্টনমেন্ট দিয়ে যার উত্থান আজ তাদের বিরুদ্ধাচরণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তাও বিক্রি করে দিচ্ছেন, যা প্রকারান্তরে দেশ দ্রোহীতার সামিল। আশ্চর্য বোধক চিহ্ন দিলাম না।
কারণ রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ডিজিএফআই এনএসএফ-এর মতো সংগঠনগুলোকেও উলফা তথা ভারতের বিপক্ষে ব্যবহার করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। আইআসআই যেমন বাফার। বিএনপিও তেমনি। বহির্বিশ্বের প্রয়োজনে যে তাদের পয়দা হয়েছিলো এবং তা যে ফুরিয়ে গেছে সেই বোধোদয় কোনদিনই হবে না এই গবেটগুলার ভারতের নাদানীপনায় পাকি’রা টিকে ছিল।
৪৭-এবোকামী করে জাতীসংঘের টোপ গিলে যে যুদ্ধ বিরতিতে গিয়েছিলো তার মাসুল আজও গুনছে। ৬৫-৭১ এ কাশ্মীর কেন, গোটা পাকিদের গিলে খেয়ে হজম করে ফেলতে পারতো। করেনি কংগেসের অহিংস যুদ্ধনীতির ভুলে প্রকারান্তরে আজ তারা ক্ষমতাচ্যুত। (বিজেপির পাকি বিরোধিতা অনেকটা আমাদের বিএনপি মেকি ভারত বিরোধীর ন্যায়) আশা করি আওয়ামী লীগ সেই রাস্তায় হাটবে না আর। এক যুগ ক্ষমতায় না থেকে যে পরিমাণ অর্থ ঢালছে লীগ তথা দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে তার উৎস খুঁজে বের করা জরুরি।
আজান দিয়ে সব কিছু করার প্রয়োজন নেই। ওরা যেভাবে নিরবে-নিভৃতে মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার থেকে অবৈধভাবে বঞ্চিত করে করে রাজাকারদের পুনর্বাসন করে বিত্তশালী করেছিলো ঠিক তার উল্টোটা করতে হবে এবং তা তাদের মতো বেআইনিভাবে করতে হবে না, আইন মেনেই করা যায়। যুদ্ধোপরাধীদের সম্পত্তি ক্রোক করতে বাঁধা কোথায়? ২১ আগাস্ট, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার কি ফলোআপ? প্রতিনিয়ত এগুলোর প্রচার করলে কি আর তারা গাল-গল্প-মিথ্যাচার করার ফুসরত পায়? ট্রাইবুন্যালে না করে প্রচলিত আইনে ১৫ অগাস্টের খুনিদের বিচার করে যে গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন আশা করি তারা যে তার লায়েক নয় তা ঠাওর করতে পেরেছেন শেখের বেটি।
খুনিদের রাজনৈতিক দল করতে দেওয়া হয়েছিলো যার টার্গেট ছিলো লীগ। সেই লীগ ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্র দেখালো যার প্রতিদানে পুনরায় টার্গেট। বিচার কার্যের বিলম্বে আশাহত হয়ে একদা আমি আর আমার এক বাল্যবন্ধু বসে বসে ছক কষতাম মোসাদ যেভাবে খুঁজে এক এক করে সকল নাৎসিদের কতল করেছে সেই রূপে এই সকল খুনিদের সায়েস্তা করা সমীচীন এবং তা করতে হলে মোসাদকে হায়ার করতে হবে। ফেসবুক থেকে