দেবদুলাল মুন্না: [২] খবর দ্য গার্ডিয়ানের। গত ছয় মাসে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জাতিসংঘ জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) সম্পর্কে এ সতর্ক বার্তা গতকাল শনিবার আইএস ও আল-কায়েদা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও ইউরোপের মতো ‘বিরোধমুক্ত’ অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি বরবরই কম, তবে জাতিসংঘের বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জঙ্গিরা ইতোমধ্যে যেসব এলাকায় সুপ্রতিষ্ঠিত, সেখানকার স্থানীয় সরকারগুলোকে ফাঁকি দেয়ার বড় সুযোগ এনে দিয়েছে করোনাভাইরাস মহামারি।
[৩] প্রতিবেদনে বলা হয়, চলাচলে বিধিনিষেধের কারণে অনেক মানুষ অনলাইনে বেশি সময় ব্যয় করায় ভালোই ‘বন্দি শ্রোতা’ পেয়েছে আইএস। এই সময়ে শনাক্ত না হওয়া হুমকিগুলো হয়তো ঘনিভূত হয়েছে, যা সময়মতো প্রকাশ পেতে পারে।
[৪] জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মহামারি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে আটকানোর চেয়ে সংঘাতময় অঞ্চলে সরকারগুলোর হাত বেশি দুর্বল করেছে এবং অর্থনীতি, সরকারি সংস্থান ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বরাদ্দের ওপর এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব হুমকি আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
[৫] গত অক্টোবরে আইএসের মুখপাত্র আবু হামজা আল-কোরেশি সংগঠনটির সমর্থকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কম ব্যয় করে উচ্চ-প্রভাববিশিষ্ট হামলা, জেলভাঙা ও অন্য সক্রিয় কর্মকাণ্ডে বেশি শ্রম দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :