সমীরণ রায়: [৩] দেশের দুর্গম ও উপকূলীয় এলাকায় ১১২টি ভি-স্যাটের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে ব্যান্ডউইথ ।[২] আনা হবে টেলি মেডিসিন ও টেলি এডুকেশনেরও আওতায় । যার ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। ফলে মোবাইল ইন্টারনেট ও অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ ছাড়ায় এসব এলাকার মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনেকশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড।
[৪] ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রথম ধাপে ৩১ দ্বীপসহ আরও ৪০টি দ্বীপ বা চর যেখানে পৌঁছাতে পারছি না, সেখানেও ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হবে। দুর্গম এলাকাগুলোকে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে প্রথম ধাপের কাজ শেষ পর্যায়ে, দ্বিতীয় ধাপের কাজও শুরু হচ্ছে।
[৫] বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, দুর্গম এলাকায় টেলিফোন সেবা বা ব্যান্ডউইথ পৌঁছায়নি। তাই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ১১২টি ভি-স্যাটে ব্যান্ডউইথ সাপ্লাই করছি। টেলিমেডিসিন ও টেলি এডুকেশন সেবার কাজও এগিয়ে চলছে।
[৬] স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্বীপ এলাকায় নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক হামেদ হাসান মুহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে ডাউনলোড স্পিড ১০ এমবিপিএস ও আপলোড স্পিড দুই এমবিপিএস। দ্বীপগুলোর বাসিন্দারা নিজস্ব ডিভাইসে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন।
[৭] বিসিএসসিএল জানিয়েছে, পটুয়াখালীর চর কাজল, চর বিশ্বাস, বাহের চর, চর বোরহান ও চন্দ্রদ্বীপসহ ৭টি দ্বীপ, চাঁদপুরে ৮টি, পিরোজপুর, বরিশাল নোয়াখালীর একটি করে এবং ভোলার ১১টি দ্বীপ ইন্টারনেটের আওতায় এসেছে। এছাড়া সেন্টমার্টিনে মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধা থাকলেও যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। সরকারি-বেসরকারিসহ ১১২টি প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে। গত ২০১৯ সালের মার্চে শুরু হয় এই প্রকল্প।