সোহেল মিয়া: [২] পরিত্যক্ত কলা গাছ দিয়ে উন্নতমানের সুতা তৈরি করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নারুয়া ইউনিয়নের শোলাবাড়িয়া গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবক এস কে আবু সাঈদ সাবু।
[৩] সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সুতা তৈরির পাশাপাশি কলাগাছের ডাস্ট দিয়ে কাগজ, মশার কয়েল, জৈব সার, মাছের খাবার এমনকি রস দিয়ে তারফিন ও অ্যাসিডসোডা উৎপাদন করা সম্ভব বলেও জানান তরুন এই উদ্যেক্তা।
[৪] নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি বেকারত্ব দূরিকরণের লক্ষ্যে নিজের বাড়ির আঙিনাতেই “আফসাম ব্যানেনা ফাইবারস ট্রেডিং” নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। সেই প্রকল্প থেকেই পরিত্যক্ত কলা গাছ দিয়ে তৈরি করছে সুতা।
[৫] উদ্যেক্তা এস কে আবু সাঈদ সাবু বলেন, সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে মাস্টার্স পাশ করার পর সরকারি কোন চাকরিতে প্রবেশ করতে না পেরে অবশেষে ব্যানেনা ফাইবার উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করি।
[৬] ভারতের থেকে একটি ধারণা নিয়ে ২০২০ সালের জুলাইয়ের দিকে পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাস্তবায়ন শুরু করি। বর্তমান এই প্রজেক্ট থেকে সুতা উৎপাদন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে উৎপাদিত সুতা বিভিন্ন কোম্পানিকে দেখানো হয়েছে।
[৭] একটি কোম্পানির সাথে চুক্তি হয়েছে। তারা কলা গাছের তৈরি সূতা প্রতি মণ ৬০০০-৮০০০ টাকা দাম নির্ধারণ করেছে। এ সময় তিনি আরো জানান, এক কেজি সূতা তৈরি করতে মাঝারি ধরনের ৮-১০টি কলা গাছ লাগে। বিভিন্ন বাগান থেকে পরিত্যক্ত কলা গাছ সংগ্রহ করে এনে সূতা তৈরির কাজে সেটা ব্যবহার করছি।
[৮] স্থানীয়রা জানান, এটি দেশের অর্থনৈতিকখাতে ব্যাপক প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি বেকারত্ব দূরিকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে। সরকারের উচিত এটিকে কুঠির শিল্প হিসাবে গড়ে তোলা।
[৯] সব ধরনের সহযেগিতার আশ্বাস দিয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, কলা গাছ দিয়ে সুতা তৈরি করা একটি অভিনব পদ্ধতি। প্রকল্পটি পরিদর্শন করে বিভিন্ন সরকারি আর্থিক সহযোগিতা মাধ্যমে এটিকে কুঠির শিল্প হিসাবে সম্প্রসারণ করার চেষ্টা করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি