যশোর প্রতিনিধি: [২] সদর উপজেলার বানিয়াবহু গ্রামের মাঠের মধ্যে থাকা এস্কেভেটরের ব্যাটারী চুরি করে বিক্রির সময় দোকানীর সহযোগীতায় আহম্মদ আলী নামে এক চোরকে ধরে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
[৩] সে যশোর সদর উপজেলার পাগলাদাহ গ্রামের বর্তমানে ছোট মেঘলা গ্রামের মৃত মোক্তার আলীর ছেলে। এ ঘটনায় রোববার (৩১ জানুয়ারি) গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
[৪] যশোর সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের মৃত আফসার হোসেনের ছেলে কবির হোসেন বাদি হয়ে আহম্মদ আলীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় তিনি বলেছেন, সে মা মনি এন্টারপ্রাইজ চাঁচড়া বাজারের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের একটি এস্কেভেটর আছে। ওই এস্কেভেটর দুই মাস যাবত যশোর কোতয়ালি থানাধীন বানিয়াবহু গ্রামস্থ মাঠে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত আছে।
[৫] এস্কেভেটরের চালক ওই গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে আক্তার হোসেন ৩০ জানুয়ারি রাত ১১ টা পর্যন্ত মাটি কাটার কাজ শেষে এস্কেভেটরটি মাঠে রেখে তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরে রোববার ৩১ জানুয়ারী ভোর ৫ টায় উক্ত বানিয়াবহু গ্রামের মাঠে এস্কেভেটরের কাছে ফিরে যেয়ে দেখেন উক্ত গাড়ীর ১২ ভোল্টের দু’টি ব্যাটারী কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে।
[৬] উক্ত খবর পেয়ে মা মনি এন্টার প্রাইজের কর্নধর সেলিম রেজা পান্নুকে অবহিত করি। সবাই মিলে চুরি যাওয়ার ব্যাটারি খোঁজখবর নিতে থাকি। রোববার ৩১ জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় চাঁচড়া চেকপোষ্ট সংলগ্ন মেসার্স সারমিন মটরস্ এন্ড ব্যাটারী মালিক শাহিনুর রহমান জানান তার দোকানে একজন ব্যক্তি দু’টি ব্যাটারি বিক্রয় করতে এসেছে।
[৭] এ সংবাদের ভিত্তিতে দোকানে হাজির হয়ে দেখেন ওই ব্যাটারী তাদের এস্কেভেটর গাড়ীর। চোর আহম্মদ আলী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :