আসিফুজ্জামান পৃথিল ও আতাউর অপু: [২] ১০ বছর ‘গণতন্ত্র’ থাকার পর মিয়ানমারে আবারও দৃশ্যপটে সামরিক বাহিনী। সোমবার ভোরে রাজসৈতিক নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদের। ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইন। ১ বছরের জন্য মার্শাল ল ও জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। রাজধানী নেপিইদোর বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটও বন্ধ রাখা হয়েছে। সিএনএন
[৩] ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সোমবার জানিয়েছে যে, তাদের নেতা অং সান সুচি জনগণকে এই সেনা অভ্যুত্থান মেনে না নিয়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামরিক বাহিনীর এই পদক্ষেপ দেশকে আবারো স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেয়ার পদক্ষেপ। জনগণকে এটি মেনে না নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং আন্তরিকভাবে এই সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
[৪]মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে, তারা একটি অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে যা ১৯৬২ সালের পর বেসামরিক কোনও সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম। এটি সংবিধানেরও লঙ্ঘন। গত শনিবারই সংবিধান মেনে চলার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছিল সামরিক বাহিনী। সামরিক বাহিনী সমর্থিত ইউএসডিপি পার্টি গত নভেম্বরের নির্বাচনে খুবই খারাপ ফল করেছে। অন্যদিকে এনএলডি ২০১৫ সালের নির্বাচনের তুলনায়ও আরও ভাল করেছে।
[৫]এই ব্যাপারে রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা সম্প্রদায় মিয়ানমারে গণতন্ত্রকে হত্যার এই ঘৃণ্য চেষ্টার নিন্দা জানাই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেনো এগিয়ে আসে এবং যেকোন মূল্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে।’
আপনার মতামত লিখুন :