যশোর প্রতিনিধি: [২] নিহত যুবকের নাম মুকুল হোসেন (৪০)। শুক্রবার রাতে শিরালি মদনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মুকুল ওই গ্রামের আমিন মোড়লের ছেলে। নিহত মুকুল চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ছিল।
[৩] এ ঘটনায় মুকুলের বাবা আমিন মোড়ল ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। আসামিরা হলো, শিরিলি গ্রামের মদনপুর গ্রামের মোন্তাজ আলী, মোন্তাজের চার ভাইপো দিপু হোসেন, রায়হান হোসেন, সাদেক আলী ও রাশেদ হোসেন।
[৪] পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই গ্রামের মোন্তাজের ছেলে টিপু সুলতান (২৮), ইন্তাজ আলীর দুই ছেলে দিপু হোসেন (৩০) ও রায়হান হোসেন (২০), উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মহিদুল ইসরামের দুই ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৬) ও সাজেদুল ইসলামকে (২০) আটক করেছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জিয়াউল হক জানিয়েছেন।
[৫] পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকজন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত মুকুলকে শিরালি মদনপুর গ্রামের কবরস্থানের নিকট ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। তার স্বজনরা উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
[৬] খবর পেয়ে মনিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য তিনজন পলাতক বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক জিয়াউল হক জানিয়েছেন।
[৭] স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জি.এম আহাদ আলীসহ গ্রামবাসী জানান, মুকুল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আটটি মামলা রয়েছে।
[৮] এছাড়াও সে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এসব ঘটনা নিয়ে ওই গ্রামের মোন্তাজ পরিবারের সাথে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে মুকুল।
[৯] তবে নিহতের স্ত্রী লাইলা খাতুনের দাবি, মুকুল আগে মাদক ব্যবসা করলেও বর্তমানে মাদকের সঙ্গে জড়িত না।
[১০] সম্প্রতি একটি সাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র তাদের মধ্যকার বিরোধ আরও তুঙ্গে চলে আসে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিপু, রায়হান গং মুকুলের প্রকাশ্যে বিরোধ শুরু করে। এরই জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ