আবদুল করিম: [২] চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার দরবেশহাট এলাকা থেকে নিখোঁজ জাতীয় পার্টির নেতা আনোয়ার হোসেনের (৪০) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[৩] শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে তার নিজস্ব খামার থেকেই মাটি চাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় লাশ।
[৪] নিহত আনোয়ার হোসেন লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের আহমদ সওদাগরের পুত্র। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
[৫] আনোয়ার হোসেনের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে আনোয়ার হোসেন পদুয়ার গরুর বাজারে ছিলেন। বিকেলে ও রাতে তিনি আর ঘরে ফেরেননি। রাত থেকে তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। সারা রাত ঘরে না ফেরায় স্বজনসহ তাঁর বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে খোঁজ নেওয়া হয়। কোথাও তাঁর খোঁজ না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে তার পরদিন লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
[৬] সাধারণ ডায়েরি করার ঠিক দুইদিন পরই দুপুরে হঠাৎ অপরিচিত এক ব্যক্তি আনোয়ারের ছোট ভাই সেলিমের মুঠোফোনে কল করে প্রথমে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে ওই ব্যক্তি দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে ছেড়ে দেবেন বলে জানান।
[৭] এরপরই আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধারে নেমে পড়ে পুলিশ এবং একমাস চেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত তার লাশটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সর্বশেষ আনোয়ার হোসেনের খামারের কর্মচারী স্থানীয় আসিফ এবং আনছার নামে এক মিয়ানমারের নাগরীককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পাওয়া যায় লাশের সন্ধান।
[৮] লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, ‘নিহতের স্ত্রী নার্গিস আক্তার গত ২১ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে পুলিশ বিভিন্ন সোর্স ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নিখোঁজ আনোয়ারকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। সর্বশেষ খামারের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়। এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আনোয়ার মাটিচাপা অবস্থায় আছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
[৯] গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আসিফ স্থানীয় এবং আনছার মিয়ানমারের নাগরিক বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :