শিরোনাম
◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল

প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারী, ২০২১, ১২:৫৪ দুপুর
আপডেট : ২৯ জানুয়ারী, ২০২১, ১২:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] প্রাণের বিনিময়ে আনুষ্ঠানিকতা রাষ্ট্রের কর্তব্য নয়: আ স ম রব

শাহীন খন্দকার: [২] স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হামলা গোলাগুলি সংঘাত প্রাণহানি প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব এবং ক্ষমতাসীন দলের শক্তি প্রদর্শনের পরিপেক্ষিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার বিবৃতি প্রদান করেছেন।

[৩] বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন নির্বাচন এখন শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু এই আনুষ্ঠানিকতার জন্য অমূল্য প্রাণ ঝরে পড়বে এটা কোন ভাবেই মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্রে গ্রহণীয় নয়। নির্বাচন নিয়ে তামাশা আর প্রাণ নিয়ে তামাশা সমকক্ষ হতে পারে না।

[৪] মানুষ হত্যার পরিবেশ সৃষ্টি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য নয়। জনগণের অর্থ এবং প্রাণ আত্মসাৎ করে নির্বাচনী নাটক সমগ্র রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। নির্বাচন বিহীন সংস্কৃতির পরিণতি কী ভয়ঙ্কর হতে পারে তা সরকার উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

[৫]নেতৃবৃন্দ আরও বলেন স্থানীয় সরকার নির্বাচন গুলোতে বিরোধীদলের প্রার্থীদের এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়া, ভোট কেন্দ্রগুলো ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা, গোপন বুথে অবাঞ্চিত ব্যক্তিদের অবস্থান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং নির্বাচন কমিশনের নিস্ক্রিয়তা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

[৬] সংঘাত জবরদস্তি সহিংসতা নির্বাচনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশের ন্যূনতম কোন ব্যবস্থা নেই। প্রতিটি নির্বাচনে প্রতিবার একই ধরনের কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে কিন্তু নির্বাচন কমিশন এবং সরকার প্রতিকারের কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে না।

[৭] মানুষ হত্যার বিনিময়ে নির্বাচনী আনুষ্ঠানিকতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জনগণের অংশগ্রহণমূলক ও জনগণের অভিপ্রায়ের প্রতিফলন ঘটতে পারে এমন নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রবর্তন করাই হবে রাষ্ট্রের দায় ও কর্তব্য।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়