রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের মেজর জেনারেল ইয়াশ মোর (অব:) বলেছেন বাংলাদেশ ও ভারত ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি যে এক সঙ্গে উদযাপন করছে তা আধুনিক সামরিক ইতিহাসে এক অন্যতম সেরা বিজয়। আমরা এক সঙ্গে লড়েছি, এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে। দি প্রিন্ট
[৩] তিনি বলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বের সঙ্গে এই কুচকাওয়াজে অংশ নেয়া সত্যিই এক বিরল ঘটনা। এটি উভয় দেশের সেনারা যে একসঙ্গে লড়েছিল তার যথাযথ স্বীকৃতি। ইন্দিরা গান্ধী ও শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের পাশাপাশি উভয় দেশের মানুষের ত্যাগ পুনর্বিবেচনা ও স্মরণ করার জন্যে এটি ভাল সময়।
[৪] জেনারেল ইয়াশ মোর বলেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সঙ্গে এক নবীণ জাতির জন্মই নয়, ‘দ্বি-জাতি’ তত্ত্বও চিরদিনের জন্য ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। পাকিস্তান এই বিশাল অবমাননা এবং জাতীয় অপমানের ক্ষত এখনো বহন করছে।
[৫] মুক্তি বাহিনী ও ভারতের সেনাবাহিনীর সহযোগিতা এখন এই দুই জাতির ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ ও লোকাচারে পরিণত হয়েছে এমন মন্তব্য করে জেনারেল ইয়াশ মোর বাংলাদেশে তার এক বছর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেছেন দেশটির শতশত মানুষের মুখে মুক্তিযুদ্ধ শুরু এবং জেনারেল নিয়াজি ও জেনারেল অরোরার আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে বিজয়গাঁথা অর্জনের কথা শুনেছি যা ভুলে যাওয়া কঠিন।
[৬] জেনারেল ইয়াশ মোর বলেন স্বাধীনতার জন্যে আকুল হয়ে থাকা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর গ্রাম ও শহরগুলোর আনন্দময় দৃশ্যগুলো কখনোই ভোলা যায় না। এসব তরুণ কর্মকর্তা যারা নতুন এই দেশটিকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্যে ভারতে প্রশিক্ষণ ছাড়াও যুদ্ধের আগেই কমিশন পেয়েছিলেন।
[৭] জেনারেল ইয়াশ মোর তার বাংলাদেশ ভ্রমণকে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ওই সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে মাত্র একজন কর্নেল র্যাঙ্কের বাঙ্গালী অফিসার ছিলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে পাঞ্জাবি মুসলমানদের প্রভাব ছিল। তারা মনে করত বাঙ্গালীরা লড়তে জানে না। এও আরেক কারণ, ভারতের সেনাবাহিনী বাঙ্গালী তরুণদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে পরিস্থিতিকে আমাদের অনুকূলে দ্রুত পরিবর্তন করে এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে মনস্তাত্ত্বিকভাবে স্থানচ্যুত হয়ে পড়ে।