নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছেন ধর্ষণের শিকার গর্ভবতী এক তরুণী। ভুক্তভোগীকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে বরিশাল সদরের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
সোমবার ৯৯৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, রোববার বিকেলে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এক অসুস্থ তরুণী ফোন করে জানান, তিনি গর্ভবতী এবং গুরুতর অসুস্থ। তার প্রচুর রক্তপাত হচ্ছে। তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। কিন্তু তার সাথে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ নেই। তার বাবা মা বেঁচে নেই। তিনি এক দূর সম্পর্কের খালার বাসায় থাকতেন।
৯৯৯ এ ওই তরুণী আরও জানান, গত বছরের অক্টোবর মাসে তিনি ধর্ষণের শিকার হন। ওই সময় তিনি ৯৯৯ এ ফোন করেছিলেন এবং ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষনকারীকে আটক করেছিলো। এ ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় তিনি মামলা করেছিলেন। অপরাধী জেল খেটে কিছুদিন আগে জামিনে বেরিয়ে এসেছে। অপরাধীর ভয়ে তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় স্বজন কেউ তাকে সাহায্য করতে রাজী হচ্ছেনা। তরুণী কান্নায় ভেঙে পড়ে ৯৯৯ এর কাছে তার জীবন বাঁচাতে বরিশাল মেডিকেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান।
পরে জাতীয় জরুরি সেবা সেল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ভান্ডারিয়া উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু তরুণীর আত্মীয়-স্বজন না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স চালকরা তাকে বরিশাল নিয়ে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে রাজি করায় এবং সেই সঙ্গে এক বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিককে বরিশাল নিয়ে যেতে রাজি করান জাতীয় জরুরি সেবা সেলের সদস্যরা। এরপর রোববার সন্ধ্যায় তরুণীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
আনেয়ার সাত্তার জানান, সোমবার দুপুরে ৯৯৯ থেকে যোগাযোগ করে তরুণীর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেয়া হয়। তখন তরুণী জানান, তার শরীর এখনো অনেক খারাপ, তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে এবং তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। তবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন তিনি বর্তমানে আশংকামুক্ত।