ফিরোজ আহম্মেদ: [২] রোববার ছিল কলেজ শিক্ষক সদর উদ্দিন (৬০) এর কর্মজীবনের শেষ দিন। কর্মস্থল থেকে সহকর্মীদের দেয়া বিদায় অনুষ্ঠান শেষ করে বিকালে মটর সাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি গাজীর বাজার- কালীগঞ্জ সড়কের মস্তবাপুর মাঠের মধ্যে পৌছলে সাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশের গভীর নলকুপের পাকা সেচনালায় আঘাত করেন।
[৩] এ সময় তিনি মারাত্মক আহত হলে মাঠের কৃষকেরা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে বিকাল সাড়ে ৩ টায় তিনি মারা যান। নিহত সদর উদ্দীনের বাড়ি ঝিনাইদহের টিকারী গ্রামে। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ শহরের কালিকাপুর বটতলায় পাশে বসবাস করেন। কর্মজীবনের শেষ দিনের বিদায় নিয়ে পৃথিবী থেকেও তিনি চিরবিদায় নিলেন।
[৪] নিহতের ভাই মশিউর রহমান জানান,বাঘারপাড়া কলেজের ইসলামের ইতিহাসের শিক্ষক ছিলেন। তিনি জীবনে দুইবার ষ্ট্রোক করেছেন। তার স্ত্রী তওফিকা বেগম একজন স্বাস্থকর্মি। আর একমাত্র কন্যা সোনিয়া খাতুন আমেরিকা প্রবাসী। ফলে সদর উদ্দীনের মৃত্যুতে তওফিকা বেগম ওই বাড়িতে একা হয়ে গেলেন। কর্মজীবনের শেষ দিনের সহকর্মিদের ছেড়ে আসার কষ্টসহ জীবনের বাকি সময় কিভাবে কাটাবেন হয়তোবা এমন চিন্তা ভাবনা করতে করতে তিনি মটর সাইকেল চালাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে মটর সাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে যোগ করেন নিহতের ভাই মশিউর রহমান।
[৫] কালীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মতলেবুর রহমান ওই শিক্ষকের সড়কে দূর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :