ঝালকাঠি প্রতিনিধি: [২] ঝালকাঠি সদর উপজেলার ৩৬ গ্রামে সবজি চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন নারীরা। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে ১২ মাসই সবজির চাষ হয়। এখানে শুধুমাত্র নারীরাই মাঠে চাষবাস করেন। কিছু ক্ষেতে পুরুষের সাথে সমান তালে কাজ করছেন তারা। এসব এলাকার ৫ হাজার পরিবার এখন সবজি চাষ করে তাদের জীবিকা চালায়। জেলা কৃষি বিভাগ নারীদের এই সবজী চাষে উৎসাহ দেয়ার জন্য কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।
[৩] পুরুষরাও তাদের সহায়তা করেন। এসব এলাকার ৫ হাজার পরিবার এখন সবজি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। সবজি চাষে উৎসাহ দেয়ার জন্য কারিগরী সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
[৪] চারা রোপন, পরিচর্যা থেকে শুরু করে সবজি ক্ষেতের যাবতীয় কাজই করছেন নারীরা। আবাদ করেছেন লাউ, মিষ্টিকুমড়া, শিম, ফুলকপি-বাঁধাকপি, টমেটো, লাল শাক পালং শাকসহ নানা জাতের সবজি।
[৫] এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। তবে দিনরাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ফসলের ন্যায্য মূল্য পান না জানিয়ে লাভের বড় অংশই মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের পকেটে যায় বলে অভিযোগ কৃষকদের।
[৬] কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিফাত সিকদার বলেন, ‘সবজি চাষে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে এ কাজে উৎসাহিত করতে কৃষি বিভাগ থেকে কারিগরীসহ সবধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
[৭] কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সদর উপজেলায় রবি মৌসুমে ৩ হাজার একশ হেক্টর জমিতে এবং গ্রীস্মকালীন সময় এক হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়ে থাকে। রবি মৌসুমে ৪৩ হাজার ৪শ মে. টন এবং গ্রীস্মকালীন সময় ১৩ হাজার ২শ মে. টন সবজি উৎপাদন হয় হয়।
[৮] মাঠে কাজ কর করা কৃষক ও কৃষানী জানান, দরিদ্র পরিবারের ভরণপোষণ করত নারী পুরুষ সমান তালে কাজ করতে হচ্ছে। অনেক পরিবারের উপার্জনের জন্য কোন পুরুষ না থাকায় নারীরাই পরিবারের প্রধান চালিকা শক্তি। শ্রমের বিনিময়ে উপার্জিত অর্থ দিয়েই পরিবার পরিচালনা করা হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহদে