শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০২১, ১১:১৮ দুপুর
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০২১, ১১:১৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ‘আমেরিকার গণতন্ত্রের মন্দির যখন যুদ্ধক্ষেত্র’, যুদ্ধকালীন ইরাকের স্মৃতি মনে করিয়ে দিলো সশস্ত্র সেনা বেষ্টিত ওয়াশিংটন

লিহান লিমা: [২] সময়টা ২০০৩ সালের শুরুর দিক। ইরাকজুড়ে সরকারী ভবনগুলোতে চলছে লুট-পাট। সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রাশফিল্ড তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ইরাক স্বাধীন হয়েছে। এখন মানুষ ভুল করতে পারে, অপরাধ করতে পারে এবং খারাপ কাজও করতে পারে। সেই সঙ্গে তারা সুন্দর ও স্বাধীনভাবে নিজেদের জীবনও এখন নির্বাহ করতে পারবে।’

[৩] ইরাকের সাংবাদিক আলি আদেব আলনাহেমি তখন বাগদাদ থেকে করা প্রতিবেদনে বলেছিলেন, ‘আমি যেখানেই যাচ্ছিলাম সেখানেই দেখি লুটপাট চলছে, আগুন ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে, পাশেই মার্কিন সৈন্যরা দাঁড়িয়ে ছিলো, তারা আমাকে বলেছিলো ‘তাদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ আলনাহেমি বলেন, ‘আমি জানি আমি কি দেখেছি, এটি কখনোই স্বাধীনতা নয়।’

[৪] প্রায় দুই দশক পর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা মার্কিন ক্যাপিটলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করলেন, এই সহিংসতায় ৫জন প্রাণ হারালেন। এরপরই চললো তদন্ত ও গ্রেপ্তার, কড়া নিরাপত্তা বহাল করা হলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম বারের মতো মার্কিন সেনারা ক্যাপিটলের মেঝেতে রাত কাটালেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘গ্রিন জোন’ স্থাপন করা হলো-ঠিক বাগদাদে একসময় যা মার্কিন সেনাবাহিনী করেছিলো।

[৫] ইরাক যুদ্ধের সাংবাদিক আলনাহেমি বলেন, আমি বিস্মিত হয়ে খবর দেখেছিলাম। ২০০৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও প্রশাসন বিধ্বংসী অস্ত্রের মিথ্যে দাবি করে ইরাকে হস্তক্ষেপ করেছিলো। এখন যুক্তরাষ্ট্রও নির্বাচনে জালিয়াতির দাবীতে দুঃস্বপ্নের রাত পার করছে। এই দুই মিথ্যের ধরণ ভিন্ন, কিন্তু এর প্রভাব একই।

[৬] গত এক সপ্তাহে ওয়াশিংটনের প্রতি ইঞ্চি জায়গায় তল্লাশি চলেছে। সরকারি ভবনগুলোর সামনে চেকপয়েন্ট রাখা হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো বন্ধ করা হয়েছে। শত শত সশস্ত্র সেনা উপস্থিতি স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্বেগ ও দিশেহারা অবস্থায় ফেলেছে।

[৭] ইরাকে যুদ্ধ করা ম্যাসাচুসেটসের কংগ্রেসম্যান বলেন, ‘আমি বাগদাদে এমনটি আশা করেছি, কিন্তু ওয়াশিংটনে কল্পনাও করিনি।’ কলারাডোর কংগ্রেস সদস্য জ্যাসন ক্রো টুইটে বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের মন্দির যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, এটি দেখা সত্যিই কষ্টের।’ ইরাক যুদ্ধের সৈনিক ও লেখক ম্যাট গালাহগার বলেন, ‘ওয়াশিংটনের এই দৃশ্য পরাবাস্তব। হয়তো অবশ্যম্ভাবিতা। রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকা এই নিরাপত্তা রক্ষীরা সম্ভবত ৯/১১-র সময়ে জন্মেছিলেন। তাদের আমেরিকা এই কাজ অন্য দেশে করে এসেছে। এখন এটি এখানেই হচ্ছে।

[৯] ইরাক ও আফগানিস্তান নীতি বিষয়ক সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা টম পোর্টার বলেন, ‘যা হচ্ছে তা যুদ্ধক্ষেত্রেই হয়। যা আমাদের শহর ও ক্যাপিটলে হওয়া উচিত হয় নি। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ করা সাবেক সেনারা ‘গ্রিন জোন’ এর বিষয়টি নিয়ে হাসাহাসি করছেন। অভিষেকের সময় ওয়াশিংটনের নিরাপত্তায় কর্তৃপক্ষের অন্য নাম বাছাই করা উচিত ছিলো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়