ভূঁইয়া আশিক : [২] প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক এই উপদেষ্টা আরও বলেন, আমলারা এখন নিজ দায়িত্ব পালন না করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বক্তৃতা করে বেড়ান আওয়ামী লীগ এটা-ওটা করেছে, আওয়ামী লীগের এটা-ওটা ভালো। এসব বলা তো তাদের কাজ নয়। আমলারা তো নিজের কাজটা করছেন না ঠিকমতো। এর ফলে দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের ক্ষতি হবে। এজন্যই আমি আমলাদের সতর্ক করেছি।
[৩] আমলাদের অধিকাংশই ছাত্রজীবনে হয় ছাত্রশিবির অথবা অন্য কিছু করেছেন। অথচ তারা এখন হঠাৎ করে বর্তমান সরকারকে খুশি করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লম্বা লম্বা বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান। এটা যেন তারা খুব শিগগিরই বন্ধ করেন। [৪] একজন সচিবের দায়িত্ব মন্ত্রীকে সাহায্য করা, রাজনীতি করা নয়। আমলারা কী কাজ করবেন তার পরিষ্কার বিধান আছে। কিন্তু অনেক আমলাই সে বিধান মানছেন না। তারা তো কোনো সময় আওয়ামী লীগ করতেন না।
[৫] করোনাকালে মারা যাওয়া ৩১ জনকে প্রধানমন্ত্রী আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এই আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩০ জনই আমলা, একজন মাত্র চিকিৎসক। অথচ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক চিকিৎসক মারা গেছেন করোনাকালে।
[৬] আমলাদের একটা সীমারেখা আছে, সেই সীমারেখার মধ্যেই তাদের থাকা উচিত। রাজনৈতিক বক্তব্য না দিয়ে নিজ দায়িত্বে মনোযোগী হওয়া জরুরি।
[৭] একসময় বাসদ ছাত্রলীগ গালাগালি করতো বঙ্গবন্ধুকে। তারা এখন বাসদ বাদ দিয়ে ছাত্রলীগ সেজে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রশংসা করছে আর দেশের বারোটা বাজাচ্ছেন।