শেখ আদনান ফাহাদ : একসময় স্কুল বন্ধ করার জন্য ভয়েস রেইজ করেছিলাম। ২০২০ সালের মার্চে। এখন বলছি মাঝে মাঝে খোলা রাখার জন্য। প্রতিদিন না হোক; সপ্তাহে একদিন-দুইদিন অন্তত প্রাইমারি এবং হাইস্কুলগুলো খোলা যেতে পারে। শুরু করা যায় অন্তত। ধরুন; ক্লাস ওয়ানের বি সেকশনের শিক্ষার্থীরা একটা নির্দিষ্ট দিন গেল; আবার ‘এ’ সেকশনের শিক্ষার্থীরা অন্যদিন গেল। স্কুলে প্রতীকী ক্লাস হল। আর পাঠদান তো অনলাইনে চলছেই। এভাবে বিভিন্ন ক্লাসের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে আসার সীমিত পরিসরে সুযোগ করে দেওয়া হল। এতে করে স্কুলের সাথে ছেলে-মেয়েদের আবার সম্পর্ক নির্মাণ হবে। স্কুলে শুধু পড়াশুনা হয় না। বন্ধুত্ব, সামাজিকতা, খেলাধুলা, সিনিয়র, জুনিয়র মিথস্ক্রিয়া সব মিলে মানুষ তৈরির কারখানা একটা স্কুল। করোনার মধ্যেই আমাদের থাকতে হবে। করোনা ছাড়াও বিশ্বে অন্য রোগ আছে। শুধু করোনা থেকে বাঁচলাম কিন্তু অন্য অসুখ থেকে কি বাঁচতে পারব? তাছাড়া মৃত্যু থেকে বাঁচার কি কোন নিশ্চিত সুযোগ আছে? করোনার প্রথম ধাক্কা বাংলাদেশ খুব ভালোমত সামলে উঠেছে।
আল্লাহর বিশেষ রহমত আছে আমাদের উপর। এতো সূর্যালোক তথাকথিত উন্নত অনেক দেশেই নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে করোনায়। অথচ তারা বিশ্বের এক নম্বর দেশ। আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে আমাদেরকে রক্ষা করার। পরম করুণাময় আল্লাহতাআলা এবং নিজেদের প্রকৃতির উপর ভরসা রাখি; স্কুলগুলো মাঝে মাঝে খোলা রাখি। বাবা-মা উপায় না দেখে ছেলে-মেয়েদেরকে মাদ্রাসায় দিয়ে দিচ্ছেন। বাড়িতে অলস সময় কাটানোর চেয়ে সন্তানকে মাদ্রাসায় পাঠানোকে শ্রেয় মনে করছেন অভিভাবকরা। উঠতি বয়সের শিশুরা মোবাইল আসক্ত হয়ে কৈশোর হারাচ্ছে। বিকৃত যৌন আসক্তি নিয়ে তারা বড় হচ্ছে। সময় এসেছে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিফট করে ছেলে-মেয়েদের জন্য খোলা রাখার। সরকার কেন খুলে দেয় না আমি বুঝি। একমাত্র কারণ আমাদেরই মানসিক অসুস্থতা। একদল সমালোচনা করবেই। গুজব ছড়াবেই। অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :