বাশার নূরু: [২] এম এ মান্নান বলেছেন, যে লোক টাকা দিচ্ছে, সে নিজে কিন্তু খরচ করতে পারছে না। তার ঘরে গিয়ে দেখেন, আমার মতো বসার কোনো চেয়ার-টেবিল নেই। তারা মেঝেতে বসে কাজ করছে। অথচ তারা দেশের মালিক।
[৩] তিনি বলেন, আজকের বাজার আজকেই করবো। তবে অনেক গৃহিণী টাকা বাঁচানোর জন্য এক মাসের বাজার করে রাখেন। সেটা আগাম। তবে কোনো গৃহিণী যদি দুই বছর আগের মালপত্র আজ কেনেন, তাহলে প্রশ্ন উঠে যেতে পারে।
[৪] তিনি বলেন, না খেয়ে টাকা বাঁচাতে বলবো না। দুপুরে যদি ভাত না খাই, টাকা বাঁচবে আমার, কিন্তু এটা প্রোপার সেভিংস নয়। বিকেল ৫টার দিকে দেখা যাবে, আমি কাজ করতে পারি না। খেতেও হবে, তবে হিসাবও করতে হবে। এখানে কিছু কিছু ব্যয় আছে, যা করার আগে আমাদের সাবধান হতে হবে।
[৫] তিনি আরও বলেন, অনেক সময় অনেক জায়গায় যাই, পেন্সিল বা কলম চেষ্টা করেও লিখছে না। এগুলো আমরা সবাই বুঝি। সাপ্লাইয়ের মাল যারা দেন, তারাও তো দু-পয়সা বাঁচাতে চায়। তার কাছে এটা ন্যায় সঙ্গত। আমাদের যত্নবান হতে হবে।
[৬] তিনি বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনে চাকরি করেছিলাম কয়েক বছর। বহু বছর আগে। নির্বাচনের জন্য কী কী সব সরঞ্জাম কেনা হয়েছিল, হাজার হাজার কিনে স্টক করে রাখা ছিল, জমে পাথর হয়ে গেছে, এ রকম জিনিস আমি দেখে এসেছি ওখানে। এটা হওয়া উচিত নয়।
[৭] সোমবার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান (বিবিএস) ভবনে আয়োজিত জনশুমারির জোনাল অপারেশন (প্রথম) প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।