লিহান লিমা: [২] করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুজনিত তথ্য সংকলন বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডমিটারের তথ্য অনুযায়ী শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৪১৭জন। সংক্রমিত হয়েছেন ৯ কোটি ৩০ লাখের বেশি।
[৩] জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যে বলা হয়, চীনের উহানে করোনা শনাক্ত হওয়ার এক বছর পর এই প্রাণহানির হার ব্রাসেলস, মক্কা, মিনস্ক ও ভিয়েনায় বসবাসরত মোট জনসংখ্যার সমান।
[৪] করোনার এই প্রাণহানির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ইউরোপ। ইউরোপিয় দেশগুলোতে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫৬০জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৪১০জন প্রাণ হারিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে মোট মৃত্যু ৪ লাখ ৭ হাজার ৯০।
[৫] জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এক বার্তায় বলেন, ‘আমরা একটি দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক পরিসংখ্যানের সম্মুখীন হয়েছি। বৈশ্বিক সমন্বয়হীনতার অভাবে মহামারী প্রাণঘাতি প্রভাব ফেলেছে। এই ২০ লাখ মানুষের স্মরণে বিশ্বকে বৃহত্তর ঐক্য গঠন করতে হবে।’
[৬] যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশগুলো ইতোমধ্যেই নাগরিকদের প্রথম ডোজের টিকা দিয়েছে। তবে এখনো বিশ্বের অধিকাংশ উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো টিকার ডোজ হাতে পায় নি।
[৭] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, এ বছর হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা সম্ভব নয়। কারণ এটি অর্জন করতে হলে বিশ্বের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা নিতে হবে। বিশ্বের সাড়ে সাতশ কোটি মানুষের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮১০ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :