ফেরদৌস খন্দকার : যুক্তরাষ্ট্র ভ্যাকসিন উৎপাদন দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। আশা ছিলো তারা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে থাকবে সারা দুনিয়ায়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছিÑ তার ধারে কাছেই নেই। ভ্যাকসিন বাজারে এসেছে চার সপ্তাহ হলো। প্রথম পর্বেই কিছু হাসপাতাল তাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের পর্যন্ত ভ্যাকসিন দিয়েছে। কাল খবরে দেখলাম হাসপালগুলোতে টিকা ফেলেও দিতে হচ্ছে কারণ বোতল খুললে আর সংরক্ষণ করা যায় না। কেমন অমানবিক বেপার। যেখানে বহির্বিভাগে লাখ লাখ চিকিৎসক-নার্স ভ্যাকসিনের জন্য হাহাকার করছে। সাধারণ মানুষের কথা বাদই দিলাম।
এর মধ্যে হঠাৎ নিউইয়র্ক সিটি ঘোষণা দিল তারা ৭৫ বছর বয়ষোর্ধ সবাইকে চিকা দেবে কিন্তু কেউই কোনো ধরনের স্লট খুঁজে পাচ্ছে না জুন পযর্ন্ত রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে। বোঝায় যাচ্ছে না যে স্লটগুলো কী সব নেওয়া হয়ে গেছে নাকি এখনো শুরুই হয়নি। এ এক আজব খেলা। দেখা যাচ্ছে পোশাকধারীরা এর মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়া শুরু করেছেন। হাজার হাজার চিকিৎসক-নার্স এখনো পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিতেই পারেনি। কেমন যেন এশিয়া এশিয়া ভাব টিকা ব্যবস্থাপনায়। ডিপার্টমেন্টের ক্ষমতা থাকলে পাবেন, না থাকলে পাবেন না। কপালই বলে দেবে কে কখন ভ্যাকসিন পাবে। সময়ই সব বলে দেবে। সুস্থ্য থাকুন, আক্ষেপ করার কিছু নেই। সবাই এক সাথে বাঁচবো আমরা। যদিও সমস্যাটি মনে হচ্ছে সাময়িক। ফেসবুক থেকে