ইমরুল শাহেদ: রোহিঙ্গা ছবির প্রতিনিধিত্বশীল চরিত্রের অভিনেত্রী আরশি হোসেন বলেছেন, পারিবারিক কাজে দেশের বাইরে থাকায় তাকে নতুন বছর সেখানেই উদযাপন করতে হয়েছে। কিভাবে উদযাপন করেছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘সেদিন আমি কক্ষের বাইরেই যাইনি। তবে কষ্ট লেগেছে আমার পরিচিত গণ্ডীর বাইরে ছিলাম আমি। কারও সঙ্গে নতুন বছরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারিনি।
এই কোভিড মহামারীর মধ্যে আমরা যদি বেচে থাকি, সুস্থ থাকি আগামী বছর আর যত গুরুত্বপূর্ণ কাজই থাকুক না কেন পরিচিত গণ্ডীর বাইরে যাব না। নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়।’ সম্প্রতি তিনি চিত্রনায়ক রিয়াজের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করেছেন। সেটির বিলবোর্ডও হচ্ছে। জানালেন, এমনি আরও কিছু কাজের অফার আছে। ব্যাটে-বলে মিলে গেলে তার থেকে হয়তো কিছু কাজ করা হবে। তবে তার কাছে প্রধান কাজ হলো চলচ্চিত্রাভিনয়। তিনি বলেন, নতুন বছরে নতুন কোনো পরিকল্পনা নেই। এ বছর আমার রোহিঙ্গা ছবিটি মুক্তি পাবে।
পরিচালক অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডসহ আমরা পুরো ইউনিট প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছি। সব শ্রমেরই একটা মূল্যায়ন থাকে। আমি মনে করি দর্শক ছবিটি দেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক বিষয় সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন এবং চলচ্চিত্র হিসেবে উপভোগও করবেন।’ তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমার অনেক পরিচালকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। এখান থেকে কিছু ছবির কাজ শুরু হবে। তবে শুরু না হওয়া পর্যন্ত কোনো ছবির নাম বলতে চাই না। আসলে আমরা যে ধারার ছবিতে কাজ করি সে ধারার কোনো ছবি এখনো শুরু হচ্ছে না। আমরা কাজ করি মূলধারার চলচ্চিত্রে। সে সব ছবির কাজ মহামারীর কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন কিছু কিছু শুরু হতে যাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় মার্চ মাস থেকে পুরোপুরিভাবে শুরু হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘আমার অভিনীত সত্যিকারের মানুষ এবং বাজে ছেলে দি লোফার মুক্তি পেয়েছে। দর্শক ও নির্মাতারা জেনে গেছেন আমি কেমন অভিনেত্রী। এখন বিশ্বব্যাপী চলছে মহামারী। এর মধ্যে আমি ক্যারিয়ারকে দূর্বল করে গড়ে তুলতে চাই না।’