সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, চরিত্রবানরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি চরিত্রহীনদের হাত চলে যাবে। ‘হিজবুল বাহারে’ বিহারের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অপরাজনীতি শুরু হয়েছিলো। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই অপরাজনীতি বন্ধের মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে স্বস্তি এবং লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে।
[৩] তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতিকে সুনাম ও ঐতিহ্যের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। যারা এখনো তরুনদের পেট্রোল বোমা,আগুন সন্ত্রাস ও উগ্র সা¤প্রদায়িকতার পথে ঠেলে দিচ্ছে, তাদেরকে এসব নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির চলমান ধারায় বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদ আলোয় ঝলমল করছে। সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ এদেশের উন্নয়ন এবং ইমেজকে চ্যালেঞ্জ করেছিলো। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে সে বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
[৪] সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতি লোডশেডিংয়ের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে সেবাখাত। প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুযোগ সুবিধা এখন বিশ্বমানের। তরুন প্রজন্ম মাদক, সাইবার অপরাধ, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। প্রযুক্তি যেমনি বদলে দিয়েছে, তেমনি এর ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। তাই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে। নেতিবাচক দিক থেকে তরুনদের সুরক্ষা করতে হবে।
[৫] তিনি বলেন, তারণ্যের শক্তিকে রাষ্ট্র নির্মাণে কাজে লাগাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী যুব উন্নয়ন কার্যক্রম স¤প্রসারণ এবং শিক্ষা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড জোরদার ও ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধের কাজ করছে ।
[৬] শনিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
[৭] শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা ও আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা "সিআরআই এর সদস্যরা।
আপনার মতামত লিখুন :