ডেস্ক নিউজ: বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম পানিমাছকুটি গ্রামে সদ্য খনন করা কবরের মাটিতে পাওয়া গেছে আরবি হরফের ন্যায় ছাপ। আর তাতেই উৎসুক জনতার ঢল নেমেছে ওই স্থানে। মানুষের ভিড় সামলাতে ও এলাকার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ওই কবরের পাশে পুলিশ মোতায়েন করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। সময় টিভি, ডিবিসি নিউজ
জানা গেছে, বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাতে পানিমাছকুটি গ্রামের মৃত জব্বার মুন্সির ছেলে ইসরাঈল হোসেন ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মরদেহ দাফনের উদ্দেশে গ্রামের বাড়িতে কবর খনন করা হয়। কবর খননের সময় স্থানীয় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী কবরের গায়ে মাটিতে আরবি হরফের লিখা দেখতে পান। মুহূর্তেই এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উৎসুক মানুষের ঢল নামে। পরে স্থানীয় প্রশাসন খবর পেয়ে শৃঙ্খলা রক্ষায় ওই কবরে পাশে পুলিশ মোতায়েন করে।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার মৃত আঃ জব্বার আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক এনজিওতে চাকরিরত অবস্থায় গত বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাত ১০টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তার মরদেহ স্বজনরা নিয়ে এসে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় দাফন করার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় প্রস্তুতি নেন। বাদ যোহর তার মৃতদেহ দাফনের জন্য মাইকে প্রচার করা হয়। পরে, আব্দুল বাড়ী ও আমির আলী নামে দুইজন কবর খোঁড়ার শুরু করেন। কবরে বেশির ভাগ ছিলো বালুমাটি। কবরের ওপরের অংশ খোঁড়ার সময় বের হয়ে আসে আরবি অক্ষর। বিষয়টি প্রথমে তারা দেখে চমকে যান। পরে ধারালো অস্ত্র (বেখি) দিয়ে তারা যতবার মাটি কেটে দেন, কিন্তু লিখা বন্ধ না হয়ে পরিস্কার হয়ে ওঠে আরবি হরফগুলো। কবরের (দুই পাঁজরের) পশ্চিম পার্শ্বে লেখা রয়েছে বিসমিল্লাহ, সূরা ইয়াছিন অক্ষরের কিছু অংশ আর পূর্ব পাশে রয়েছে মীম হা মীম দাল (মোহাম্মদ) নাম।
স্থানীয়রা আরো জানান, মৃত ওই ব্যক্তি এক সন্তানের জনক ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম হাজরা বেগম। সে এখন গর্ভপতী অবস্থায় রয়েছে। ছাত্রজীবন থেকে তিনি পরহেজগার ও নামাজি ছিলেন। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তিন নম্বর।
মৃতের বড় ভাই ইব্রাহিম আলী জানান, আমার ছোট ভাই নামাজি ছিলেন। আমার জানা মতে বেঁচে থাকা অবস্থায় সে কোনদিন মিথ্যা কথা বলেনি। তার স্ত্রী-সন্তানও নামাজ আদায় করেন নিয়মিত। ৮ বছরের ছেলেকে সে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিয়েছিলো। সে ওখানে পড়ালেখা করে।
উত্তর শিমুল বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরনবী জানান, কবরে আরবি অক্ষর লেখা আমার জীবনে দেখি নেই। এই প্রথম দৃশ্য চোখে পড়লো। এটা আল্লাহ'র অলৌকিক ঘটনা।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ীর নন্দের কুটি চৌপথী জামে মসজিদের ইমাম (খতিব) ও বড়লই এলাকার হাফেজ মাওলানা আঃ হক জানান, কবরের দুই পাশে লেখা আরবি হরফগুলো আমরা নিজেরাই পড়েছি। এটা আল্লাহ প্রদত্ব ছাড়া বলা মুশকিল।
স্থানীয় ওসি রাজীব কুমার রায় বলেন, খবর পেয়ে ওই কবরের স্থানে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। শৃঙ্খলা রক্ষায় দাফন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :