শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ০৪ জানুয়ারী, ২০২১, ০৭:৪০ সকাল
আপডেট : ০৪ জানুয়ারী, ২০২১, ০৭:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] চুয়াডাঙ্গায় বাবার প্রেমিকার সঙ্গে ছেলের বিয়ে, মৃত্যুর মুখে মা

বিপ্লব বিশ্বাস: [২]বাবার পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পরেন ছেলে। পরে ওই মেয়ের সঙ্গেই ছেলেকে বিয়ে দিয়ে দেন মা হনুফা বেগম। এরপর থেকেই স্বামী মোজাফফর আলী ওরফে জহুরুলের সঙ্গে কলহ শুরু হয়ে যায় মায়ের।
সবশেষ গত শনিবার (২ জানুয়ারি) কলহের জেরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মা। এখন তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

[৩]চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঘাস নিধনের বিষ পান করেছেন তিনি, অবস্থা আশঙ্কাজনক।

[৪]এ বিষয়ে হনুফা বেগমের মা অভিযোগ করেছেন, হনুফার স্বামী চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাইস্কুলের শিক্ষক মোজাফফর আলীর পরকীয়া ছিলো। এ কারণে অতিরিক্ত টেনশনে বিষপান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো হনুফা।
এদিকে, ওই শিক্ষক জহুরুল তার স্ত্রীকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করছেন সাংবাদিকদের কাছে।

[৪]জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাইস্কুলের প্রাক্তন এক ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো শিক্ষক মোজাফফর আলীর। সেই সুবাদে ওই ছাত্রী জহুরুল ইসলামের স্বশুরবাড়ি দৌলতদিয়াড়ে প্রায় যাতায়াত করতো। একপর্যায়ে জহুরুলের ছেলে শুভর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বিষয়টি তার মা হনুফা বেগম জানতে পেরে গোপনে মেয়েটির সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিয়ে দেন। এতেই স্বামী জহুরুলের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয় হনুফা বেগমের।

[৫]স্থানীয়রা জানান, এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। একপর্যায়ে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হনুফা বেগম বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, জহুরুলের গ্রামের বাড়ি ছিলো হায়দারপুরে। সেখানেই কাজ করতেন হনুফা। কাজ করার সুবাদে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এরপর বিয়েও করেন তারা। কিন্তু জহুরুলের পরিবার বিষয়টিকে মেনে নেয়নি। এ কারণে হনুফা তার বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দৌলতদিয়াড়ে থাকতেন। দৌলতদিয়াড়ে জহুরুল মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন। বেশিরভাগ সময় তিনি নিজ গ্রাম হায়দারপুরে অবস্থান করতেন।

[৬]অভিযোগ আছে, জহুরুল তার স্ত্রীকে তালাকের ভয় দেখিয়ে অনৈতিক কাজ করতেন।

[৭]জানা গেছে, ২০০৭ সালে নিজ গ্রাম ও একই বিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলো জহুরুল। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সে সময় টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেন তিনি।
এসব বিষয়ে শিক্ষক জহুরুলের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

[৮]চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহানা আহমেদ বলেন, ‘হনুফা নামে বিষপান করা এক নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। প্রথমে তার শরীরের পাকস্থলী থেকে সেটি ওয়াশ করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালেই ভর্তি করে রাখা হয়েছে।’

[৯]সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত সদর থানার এএসআই শাহিন বলেন, ‘বিষপান করে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বর্তমানে অজ্ঞান অবস্থায় আছেন তিনি। বিষয়টি থানা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়