লিহান লিমা: [২] আগামী ৬ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সর্বশেষ সাংবিধানিক প্রক্রিয়া কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ঠিক এইক্ষণেই দেশটির রিপাবলিকান দলের প্রভাবশালী সিনেটর টেড ক্রুজসহ মোট ১১জন আইনপ্রণেতা বলেছেন, তারা কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট অনুমোদনে আপত্তি উপস্থাপন করবেন। এপি/গার্ডিয়ান
[৩] যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, কংগ্রেস একটি ইলেকটোরাল কমিশন গঠন করে তদন্ত করবে এবং নির্বাচনে বিরোধের রাজ্যগুলোর আইনপ্রণেতাদের ইলেকটোরাল ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা দেবে। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ওপর এই ১০ দিনের নিরীক্ষা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ফলাফল মেনে নেবেন না।
[৪] উচ্ছ্বসিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘এই সিনেটররা সত্য জানার পর এগিয়ে এসেছেন। দেশ তাদের মনে রাখবে। শীঘ্রই সত্য বেরিয়ে আসছে।’
[৫] প্রভাবশালী ডেমোক্রেট সিনেটর এমি ক্লবুচার বলেছেন, ‘নতুন তদন্ত কমিশন গঠনের এই আহ্বান মার্কিন জনগণের ভোটাধিকার অবমাননার প্রয়াস। এটি অগণতান্ত্রিক। এমন প্রয়াস ব্যর্থ হবে।’ মিনেসোটার সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার বলেন, ‘২০ জানুয়ারি জো বাইডেন ও কামালা হ্যারিসের অভিষেক হবে। এটি কোনো অবস্থাতেই বদলাবে না।’
[৬] এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, উচ্চকক্ষ সিনেট ছাড়াও প্রতিনিধি পরিষদের আরো শতাধিক আইনপ্রণেতারা এই দলে যোগ দিতে পারেন। কংগ্রেসের উভয় কক্ষে আইনপ্রণেতারা আপত্তি ওঠালে প্রতিটি আপত্তির জন্য আলাদা বিতর্ক ও ভোট হতে পারে। বাইডেন- কামালা অভিষেকের পূর্বে এমন পরিস্থিতি মার্কিন রাজনীতিকে ঘিরে শঙ্কা তৈরি করেছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তার মধ্যপ্রাচ্য সফর স্থগিত করেছেন।