মোশরেফা মিশু: পদ্ধাসেতুর ব্যবস্থাপনার উপর র্নিভর করবে আমাদের অর্থনীতির উন্নতির লাভ-ক্ষতি। পদ্ধাসেতুকে ভালোভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে সেতুর ব্যয় উঠে আসবে। সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। আমাদের বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে, সেগুলোর সাথে উন্নয়নের কোনো সম্পর্ক নেই। তার মানে উন্নয়ন একদিকে গণতন্ত্র অন্যদিকে। জনণের অধিকার পূরণ হচ্ছে না। সরকার দেখানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করছে সরকার। আমাদের দেশে দুর্নীতি হচ্ছে, টাকা পাচার হচ্ছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে। তা না হলে দুর্নীতিবাজদের কবলে পড়ে জনগণ পদ্মাসেতুর সুফলভোগ থেকে বঞ্চিত হবে। পদ্মাসেতুকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে।
আমাদের পদ্মাসেতু অনেক বড়, পদ্মাসেতুর মতো যেন আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজরাও বড় না হতে পারে সেটা নিশ্চিত রাখতে হবে। অন্যথায় পদ্ধাসেতু নিয়ে মানুষের যেমন আশা, স্বপ্ন সেটা পূরণ হবেনা। সেতু টোল আদায় নিয়ে যেনো কোনোরূপ সমস্যা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়টি সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। পদ্ধাসেতু আমাদের অনেক লোকের ভাগ্য বদলাবে। ঢাকার সাথে যোগাযোগের দূরত্ব কমাবে। পরিবহন খরচ কমবে এবং মানুষের সময় বাঁচবে। বিভাগের সাথে বিভাগের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। রাস্তাঘাটের উন্নতি হবে। পদ্মসেতুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন উৎপাদন কারখানা গড়ে ওঠবে, শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠবে। এগুলোর মাধ্যমে অঞ্চলভিক্তিক বিভিন্ন ছোট-বড় উদ্যোক্তা তৈরি হবে। জনগণের সুবিধা বৃদ্ধিতে সরকারকে সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার মাধ্যমে সরকার পদ্মাসেতুর প্রকৃত সুফল দেশের মানুষকে উপহার দিতে পারেন। জনগণের আকাক্সক্ষার যথার্থ প্রতিফলন সরকারের দেওয়া উচিত।
পরিচিতি : শ্রমিক নেতা ও গণতান্ত্রিক বিল্পবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক।
সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে লেখাটি লিখেছেন মাসুদ হাসান