ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী: পদ্মা সেতু চালু হতে এখনো প্রায় দুবছর বাকি। ২০২২ সালে পদ্মা সেতু গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এখন শুধু পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোর কাজটা হয়েছে। ব্রিজের উপরের অংশের কংক্রিটের কাজ বাকি রয়েছে, রেললাইন বাকি রয়েছে, দুইপাশের সংযোগ সড়ক বাকি রয়েছে, সবকিছু মিলিয়ে আরও প্রায় দুই বছর লাগবে। ২০২২ সাল থেকে সর্বসাধারণের জন্য পদ্মা সেতু উন্মুক্ত হবে। পদ্মা সেতু উন্মুক্ত হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই সাহায্য করবে। আমাদের অর্থনীতিতে পদ্মা সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে এটাও স্মরণে রাখতে হবে দশ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পে প্রায় চল্লিশ হাজার কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে কীভাবে? এখানেও যে ব্যাপক দুর্নীতি আছে সেটারও পরীক্ষা করা উচিত।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে খুব ভালো কথা, কিন্তু এর মধ্যে যদি চুরি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা বের করতে হবে। দশ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে ইতোমধ্যে ত্রিশ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছ, আরও প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা লাগবে। সবমিলিয়ে চল্লিশ হাজার কোটি টাকায় যাবে। তাই এখানে যে দুর্নীতিটা হয়েছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। যে খরচে আমরা তিনটি ব্রিজ করতে পারতাম সেখানে আমরা একটি ব্রিজ করেছি।
পদ্মা সেতু হচ্ছে, এটা অবশ্যই ভালো কথা। সরকার নিশ্চয়ই একটি ভালো কাজ করেছে, তবে অতিরিক্ত যে ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হলো তার জন্য জবাবদিহিতা করা উচিত। আগামী দুই বছরের মধ্যে আশা করছি সব কাজ শেষ হয়ে যাবে কিন্তু কতো টাকার বিনিময়ে শেষ হবে সে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
লেখক পরিচিতি : গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা।
সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে লেখাটি লিখেছেন আমিরুল ইসলাম