ইমরুল শাহেদ: শাকিব খান ও মাহি তারকায়িত নবাব এলএলবি ছবিতে অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে পরিচালক অনন্য মামুন এখন কারাগারে রয়েছেন। পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে সাইবার ক্রাইম অপরাধে। এতে আসামি করা হয়েছিল তিন জনকে। পরে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়াকে। অপর দু’জন অনন্য মামুন ও শাহীন মৃধাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রশ্ন হচ্ছে, একটি ছবির প্রতিটি কাজের জন্য দায়ি থাকেন পরিচালক। একটি ছবির কোনো দৃশ্যের জন্যই শিল্পীরা দায়ি থাকেন না। এই বিবেচনায় অর্চিতা স্পর্শিয়াকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একই কারণে আসামি তালিকা থেকে অভিনেতা শাহীন মৃধা কেন বাদ যাবেন না? এছাড়া অনন্য মামুন যে অপরাধ করেছেন তার দায়িত্ব পরিচালক সমিতি নিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
সমিতির দৃষ্টিতে তিনি এর আগেও আরও দুটি অপরাধ করেছেন। সেজন্য তার পরিচালক সমিতির সদস্যপদও স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু অনন্য মামুন ভবিষ্যতে আর কোনো অপরাধ করা হলে আজীবনের জন্য পরিচালক সমিতি থেকে বহিস্কার হওয়ার প্রতিশ্রুতিতে মুচলেকা দিয়ে সদস্যপদ ফিরে পেয়েছেন। পরিচালক সমিতি এ ব্যাপারে এখন সক্রিয় হতে পারে বলে একজন নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
পরিচালক শাহ আলম কিরণ বলেছেন, ‘অনন্য মামুনকে চিরতরে চলচ্চিত্র থেকেই বহিষ্কার করা উচিত। মোবাইল ফোনে ছবিটির যে খণ্ডাংশ দেখলাম তাতে পরিচালক হিসেবে লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে। এমন জঘন্য কাজ কোনো বিবেকবান মানুষ করতে পারেন না।’ এভাবে গোটা চলচ্চিত্র শিল্পেই একটা বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বলা যায়।
শাহ আলম কিরণ প্রশ্ন তোলেন, ‘শুধু পরিচালক কেন? সন্ত্রাসে যারা অর্থায়ন করে থাকেন তারা যদি আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী হন, তাহলে এই ধরনের অশ্লীলতা প্রচারে যারা অর্থ সহায়তা দেন, তারা কেন অপরাধী হবেন না। অশ্লীলতা যারা প্রচার করেন এবং এর সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা থাকে তারা সকলেই অপরাধ করেন বলে আমি মনে করি।’ শাহ আলম কিরণের অঙ্গুলি ছবিটির প্রযোজকের দিকেই। এছাড়া চলচ্চিত্র হিসেবে নির্মাণ করে এ্যাপসে মুক্তি দিয়েছেন ওয়েব ফিল্ম হিসেবে। নবাব এলএলবিকে চলচ্চিত্র বলা যায় না। কারণ চলচ্চিত্রটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়নি।