শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৪:৫০ সকাল
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৪:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ৭৭০টি নদীতে দখলদার ৫৭ হাজার ৩৯০ জন, ১০ শতাংশ স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী

রাশিদুল ইসলাম : [২] মাঝে মাঝে জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে নদীদখলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদে নামেন। তারপর সেই আগের চিত্র। জাতীয় নদী সংরক্ষণ কমিশন (এনআরসিসি) নৌ-পরিবহন সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে উচ্ছেদ অভিযানগুলো কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে কমপক্ষে দশ শতাংশ দখলদার স্থানীয় এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। ডেইলি স্টার

[২] অবিরাম উচ্ছেদ অভিযান করা সম্ভব হচ্ছে না অপ্রতুল তহবিল ও সরঞ্জামের অভাবে।

[৩] প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে যে প্রতিটি বিভাগে নদী ও নদীর তীরে তৈরি বিশাল কাঠামো ভেঙে ফেলা যায়নি কারণ দখলদারদের পেশী শক্তি এবং প্রভাব অনেক বেশি। এনআরসিসি আরও বলেছে, বারবার চেষ্টা করেও বিভিন্ন সরকারি কাঠামো সরানো যায়নি।

[৪] গত বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৮ হাজার ৫৭৯ নদী দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়। এনআরসি’র চেয়ারম্যান ড. মুজিবর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও উচ্ছেদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং আমরা কোনও প্রভাবশালী মহলের কাছে মাথা নত করব না। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী দখলকারীদের উচ্ছেদের মাধ্যমে দেশের নদী রক্ষার কার্যক্রম পরিচালনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। সুতরাং, ব্যক্তি ও সংস্থাগুলির যত প্রভাব ফেলুক না কেন, চলমান উচ্ছেদ কর্মসূচি থেকে সরে আসার আমাদের কোনও কারণ নেই।

[৫] এনআরসিসি’র প্রতিবেদনে অনেক ব্যক্তি ও সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়েছে যারা নদী দখল করে আছে।

[৬] ঢাকা বিভাগে নদী দখলদারের সংখ্যা ৮ হাজার ৮৯৯ জন। এর মধ্যে ৭ হাজার ৩৮৭ জনকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের হার ৮৩.০৯ শতাংশ।

[৭] প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজীপুর শহরে প্রবাহিত লবনদহ নদী দখলদারদের দখলের কারণে খালের মতো সরু হয়ে গেছে।

[৮] নৌ-পরিবহন সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বুড়িগঙ্গার নীচ থেকে পলিথিন অপসারণের উপর জোর দেয়া হয়। যথাযথ ড্রেজারদিয়ে জরুরি ভিত্তিতে কার্যক্রম শুরু করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে এনআরসিসিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয় যাতে হাইকোর্ট নদী দখলকারীদের আপিল নিষ্পত্তি দ্রুত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

[৯] এও সুপারিশ করা হয় উচ্ছেদ অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যয় আদায়ের জন্য এনআরসিসি এবং বিআইডাব্লিউটিএ যেন পদক্ষেপ নেয়।

[১০] ময়মনসিংহ বিভাগে মোট নদী দখলদারের সংখ্যা ৪,৪৮৮ জন এবং তাদের মধ্যে ১ হাজার ৭১৩ জনকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। চট্টগ্রামে দখলদারের সংখ্যা ১৮,৫৩৭ এবং উচ্ছেদের সংখ্যা ১,৩৫১। খুলনায় কমপক্ষে ১২ হাজার ৭ জন ব্যক্তি বা সংস্থা নদী দখল করেছে এবং উচ্ছেদের সংখ্যা ৫,৬০৯। সিলেট বিভাগে দখলদারের সংখ্যা ২ হাজার ৪৪ জন এবং উচ্ছেদের হার ১৭.৯ শতাংশ। বরিশালে ৫হাজার ৬১১ জন ব্যক্তি বা সংস্থা নদী দখলের পর ৭৯৩ জন দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়। রাজশাহীতে এ সংখ্যা ২ হাজার ৬৯৩ এবং ৩৩৬ জনকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। রংপুর বিভাগে দখলদারের সংখ্যা ২ হাজার ৭০৭ জন এবং ১ হাজার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়