রাশিদুল ইসলাম : [২] ইন্ডিয়ানার এক কৃষ্ণাঙ্গ নারী চিকিৎসক সুসান মুর মৃত্যুর আগে দাবি করলেন, গায়ের রঙের কারণেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না তিনি। কার্যত বিনা চিকিৎসায় ধুঁকতে ধুঁকতে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন করোনা আক্রান্ত এই চিকিৎসক। ২০ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে তার ভিডিওটি তোলপাড় সৃষ্টি করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ডেইলি মেইল
[২] ৫২ বছরের সুসান মুরের ওই ভিডিও বার্তা অনেককে অশ্রুসজল করেছে। ভিডিওতে সুসান জানিয়েছিলেন, তাকে চিকিৎসা পেতে রীতিমতো ভিক্ষা করতে হচ্ছে। শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসক তাকে ছুঁয়েও দেখছেন না, কোনও কথাও শুনছেন না! প্রচণ্ড ব্যথায় বারবার ডাক্তারকে ডাকলেও তিনি চিকিৎসা পাননি। এমনকি নিঃশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হওয়ায় তিনি একসময় কেঁদেও ফেলেছিলেন, তবু ওই শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসক তার কোনও শারীরিক পরীক্ষা করেননি।
[৩] সুসানের ছেলের বয়স ১৯ বছর। তিনি জানিয়েছেন, তার চিকিৎসক মা এতদিন বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। গত কয়েক মাস ধরেও টানা ডিউটি করেছেন করোনা বিভাগে। সেখান থেকেই সম্ভবত সংক্রামিত হন তিনি, এর ফলে গত ২৯ নভেম্বর সুসানের করোনা ধরা পড়ে। তার জ্বর ছিল। কাশির সঙ্গে রক্ত উঠছিল। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। এই অবস্থায় ৪ ডিসেম্বর তাকে ‘ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল নর্থ’-এ নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেছিলেন। কিন্তু সুসান নিজে চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতালে কার্যত তাকে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন তার ছেলে।
[৪] সুসান ভিডিওতেও জানিয়েছিলেন, তার ফুসফুসের স্ক্যান করা হয়নি প্রথমে। সেটি করতে এবং তার পরে প্রয়োজনীয় ওষুধ পেতে রীতিমতো ভিক্ষা করতে হয়েছিল তাকে। সুসান বলে গেছেন, শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসক এমন ভাব দেখাচ্ছিলেন যেন সুসান নেশা করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অথচ সেই চিকিৎসক কিন্তু জানতেন, সুসান নিজেও পেশায় চিকিৎসক।
[৫] সুসান ওই ভিডিওয় কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ’আমার মনে হয়েছে, আমার গায়ের রঙ সাদা হলে আমাকে এই কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হতো না। এই ব্যবহার পেতে হত না। এ দেশে কালো মানুষরা এভাবেই মরে যায়।’
[৬] হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, চিকিৎসায় পক্ষপাত হচ্ছে কিনা তা তারা খতিয়ে দেখবেন।
https://videos.dailymail.co.uk/video/mol/2020/12/25/8442539691268916029/640x360_MP4_8442539691268916029.mp4