জুয়েল বড়ুয়া: [২] চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে সীতাকুণ্ড থানায় এই মামলা দায়ের করেন জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানাধীন নিলোখিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার জহুরুল হকের ছেলে মো. আবু জাফর (৪৩)। তিনি গাজীপুর জেলার গাছা এলাকায় বসবাস করেন। তিনি মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৭০/৩৯৫ ধারায় অভিযোগ আনেন।
[৪] আসামীরা হলেন- সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম (৩২), কনস্টেবল সাইফুল ইসলামসহ (২৭), সোর্স রিপন (৩৫) ও হারুন (৩৩) এবং গাড়ি চালক রাজু (২৫)। তাদের তিনজনের বাড়ি সীতাকুণ্ড এলাকায়। অভিযুক্ত এসআই সাইফুল আলম, কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।
[৫] মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর সকালে গাড়িচালক আবু জাফর একটি পিকআপ গাড়ি কিনতে সীতাকুণ্ডে আসেন কিন্তু দরদামে না মেলায় তিনি কারটি না কিনে সন্ধ্যায় ফিরে যাবার সময় পৌরসদর বাসস্ট্যান্ডে শ্যামলী বাস কাউন্টারে তিনজন পুলিশ সোর্স তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের সাথে সীতাকুণ্ড থানার এসআই সাইফুল আলম ও ওসির বডিগার্ড কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম যোগ দেয়।
পরে নিজেদের ডিবি বলে পরিচয় দেয় ও গাড়িচালকের কাছে ইয়াবা আছে বলে ভয় দেখিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে পেটে ইয়াবা আছে বলে ভয় দেখিয়ে এক্সরে করান। কিন্তু ইয়াবা না পেলেও পরে আরো বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গাড়ি ক্রয়ের জন্য তার সাথে রাখা দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা লুটে নেয় ও তাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে পরে একটি গাড়িতে তুলে দেয়।
[৬] চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারও ঘটনাটি জানতে পেরে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের নির্দেশ দিলে তদন্তে নামে পুলিশ। ভুক্তভোগী আবু জাফর এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানার এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর প্রথমদিকে এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সুপারের চাপে বৃহস্পতিবার তারা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
[৭] চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, দুই পুলিশ সদস্যেকে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাদের আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি