আনু মুহাম্মদ: পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে এই করোনাকালে ছয় ধরনের অপরাধ বেড়েছে। এর মধ্যে আছে ধর্ষণ, চাঁদাবাজী, ত্রাস, ছিনতাই, দখল, চুরি। একটা অপরাধের খবর এখানে নেই সেটা হলো উন্নয়ন নামে ডাকাতি আর ধ্বংসযজ্ঞ। এমনিতেই দেশে তো আর উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কোনো জবাবদিহির কিছু নেই, যতো খুশি ব্যয়, যা খুশি ভাঙা, যা কিছু করায় কোনো বাধা নেই। করোনাকালের সুযোগে এই তৎপরতা আরও বেড়েছে। চোর বাটপাররা সবসময়ই সুযোগ সন্ধানে থাকে। করোনায় যখন মানুষ বিপর্যস্ত, যখন শারীরিকভাবে তাদের বিচ্ছিন্ন থাকতে হচ্ছে তখন তাদের লোভ আরও লকলক করে বাড়ছে। ওষুধ আর চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে চলছে কারসাজি, পাহাড় কাটা, নদী দখল, নদী, বন বিনাশের প্রকল্প, রাষ্ট্রীয় অর্থবরাদ্দে ভাগ বাটোয়ারা, ব্যাংকলুট কোনোকিছুই থেমে নেই। এই ধারায় যোগ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও।
করোনাকালে এই বিষয়ক গবেষণা, সনাক্তকরণ ইত্যাদিতে কোনো ভূমিকা পালনের উদ্যোগ নেই, গ্রন্থাগার বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র উন্নীতকরণেও কোনো উদ্যোগ নেই, কিন্তু স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধির কাজে তাদের উৎসাহে কমতি নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ইটের জঙ্গল বানানোর কাজ চলছে, সর্বশেষ টিএসসি ভবন ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রকল্প। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা যখন অনুপস্থিত তখন উন্নয়নের নামে দুর্নীতি অনিয়মে ভরা পরিবেশ বিধ্বংসী নির্মাণ কাজ জোরদারভাবে চালাচ্ছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় একই অবস্থা। এসব প্রশাসনের চোখ এখন ঠিকাদার আর কমিশনভোগীর চোখ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসব কাজ অবাধে করার উপযোগী ব্যক্তিদেরই বসানো আছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর অপকর্মের অভিযোগ সামাল দেওয়ার জন্য সরকার নিজেই ব্যতিব্যস্ত। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :