ডেস্ক রিপোর্ট: করোনার কারণে পাইকারদের উপস্থিতি কম হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন মৎস্যচাষীরা।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মহিষলুটি পাইকারি বাজার থেকে প্রতিদিন মাছ সরবরাহ হয় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাসহ রাজধানীতে। চলনবিলসহ এই এলাকার বিভিন্ন জলাশয়ে এবার মাছের উৎপাদন ভালো হলেও করোনার কারণে পাইকারদের উপস্থিতি কিছুটা কম। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন মৎস্যচাষীরা।
ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মহিষলুটি মাছের আড়ৎ। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় পাইকারি এই মাছের বাজারে চলনবিলসহ বিভিন্ন খাল-বিল থেকে নানা জাতের মাছ নিয়ে আসেন মাৎসচাষী ও জেলেরা।
টেংরা, পুটি, কৈ, শিং, রুই, কাতল, বোয়ালসহ বিভিন্ন জাতের দেশি মাছ নিয়ে আসেন মাৎসচাষী ও জেলেরা। পুটি ৮০ টাকা, টেংরা ৩শ থেকে ৪শ টাকা, শিং মাছ ৩শ থেকে সারে ৪শ টাকা, কৈ ৩শ ৫০ থেকে ৪শ টাকা, রই মাছ আকার ভেদে ১শ ৫০ থেকে ৫শ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।
চলতি বছর অনেকটা সময় ধরে এই এলাকার খাল-বিলে বন্যার পানি থাকায় মাছের উৎপাদনও ভালো হয়েছে বলে জানান পাইকাররা। প্রতিদিন আড়ৎ থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাসহ রাজধানীর পাইকারি ক্রেতারা আসেন মাছ কিনতে। কিন্তু করোনায় পাইকার কম আসায় মাছের কাঙ্ক্ষিত দাম নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা।
প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় কোটি টাকার মাছ কেনা বেচা হয় এই বাজারে।ডিবিসি