মুনশি জাকির হোসেন: একটি দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রথম ধাপ, ভূ-রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং দ্বিতীয় ধাপে আসে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, সাম্য প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন, জীবন ধারণের অধিকার, বাক্স্বাধীনতাসহ অন্যান্য দৈনন্দিন সাংবিধানিক স্বাধীনতা। ভূ-রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে না পারা তামিল, বেলুচ, ফার্ক, আইরিশ, চেচেন, কাতালান, জাতিসত্তার নজির আমলে নিলে আরও পরিষ্কার হবে।
দ্বিতীয় ধাপের স্বাধীনতার অর্জনগুলো ক্রমবর্ধনশীল, আপেক্ষিক, পরিবর্তিত পরিস্থিতি জনমানুষের আকাক্সক্ষাকাগুলোকে আরও সম্প্রসারিত করে। কিন্তু প্রথম ধাপের ভূ-রাজনৈতিক স্বাধীনতা একটি জাতির জীবনে একবারই ঘটে এবং সেই সংগ্রাম/যুদ্ধ ব্যর্থ হলে ওই জাতির দ্বিতীয় ধাপের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষাগুলো চরমভাবে প্রলম্বিত এবং সংকুচিত হতে থাকে।
১৯৭১ সালের ভূ-রাজনৈতিক স্বাধীনতা একটি রাষ্ট্র, একটি দেশের, একটি জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সুনির্দিষ্ট করেছে। যেখানে একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতি রাষ্ট্রে একটি সরকার, একটি সংবিধান থাকবে। যেখানে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি আছে, মৌল অধিকারের সংরক্ষিত আছে এবং ওই সংবিধানই একটি সংসদ, বিচার বিভাগ, শাসন বিভাগের মধ্য দিয়ে এই ভূখণ্ডের সকল নাগরিকের দ্বিতীয় ধাপের সকল অধিকারকে সুদৃঢ় ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং এগুলো অর্থনৈতিক মুক্তি/স্বাধীনতা, সামাজিক/সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত। ফেসবুক থেকে