স্বকৃত নোমান: আওয়ামী লীগ নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রামে গ্রামে উগ্রবাদীদের ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তারা কি পারেন না একটি গানের অনুষ্ঠান করতে? পারেন, কিন্তু করেন না। কেন করেন না? ওই যে ধর্মীয় জুজুর ভয়। সমাজে ধর্মের একতরফা আধিপত্যের কারণে ধর্মের নামে অধর্ম প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে।
সেদিন সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানের সঙ্গে এক ফেসবুক লাইভে জনৈক মাওলানা বলছেন, রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত বাদ দিয়ে নজরুলের কোনো গানকে জাতীয় সংগীত করতে। এ দাবি তিনি তুলেছেন নজরুলকে ভালোবেসে নয়, রবীন্দ্রনাথ হিন্দু আর নজরুল মুসলমান বলে। কী ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক মনোভাব। স্বাধীনতার ৫০ বছরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এমন সাম্প্রদায়িক দাবির কথা আমাদের শুনতে হচ্ছে!
কেউ বলতে পারেন, এ দাবি তিনি করতেই পারেন, এটা তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। কিন্তু প্রশ্ন আউল-বাউল-পালাকার এবং প্রগতিশীল লেখক-ব্লগাররা যখন তাদের মতপ্রকাশ করেন, তখন তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয় কেন? কেন কথায় কথায় ধর্মানুভূতিতে আঘাতের নামে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদের বহিষ্কার করা হয়?