সোহেল রানা: [২] কুলাউড়া উপজেলায় নিখোঁজ থাকার চারদিন পর ব্যবসায়ী আব্দুল মনাফের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি কুলাউড়া শহরের ‘মিলি প্লাজা’র মনাফ টেলিকমের সত্ত্বাধিকারী ও ভূকশিমইল ইউনিয়নের মিরশংকর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।
[৩] মঙ্গলবার ১৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মনাফের বাড়ির পাশে টয়লেটের পাশ থেকে গর্ত খুঁড়ে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় সন্দেহভাজন মনাফের চাচাত ভাইসহ ৬জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
[৪] তারা হলেন-মনাফের চাচাত ভাই শাহিনুর রহমান শাহিন (৪০), আতিকুর রহমান চান মিয়া (৫০), মনাফের খালাত ভাই শামসুদ্দিন (৪২), জাহাঙ্গীর আলম (২৩), ফজলু মিয়া (৪৫) ও ফজলুর মিয়ার ছেলে ফয়েজ আহমদ (২২)। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের ব্যবহৃত টয়লেটের ট্যাংকির ভিতর থেকে মনাফের আইডি কার্ড, সিম ও মানিব্যাগসহ কিছু আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।
[৫] পরে মনাফের চাচাত ভাইয়ের দেয়া তথ্যমতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মনাফের বাড়ির পাশে একটি টয়লেটের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের সময় কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর, কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়, ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, এসআই সনক কান্তি দাসসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়,গত শনিবার রাত থেকে ব্যবসায়ী মনাফ নিখোঁজ হন।
[৬] পরে রাতে আত্মীয়দের বাড়িসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার বাড়ির সম্মুখে কিছু রক্তের আলামত পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাতেই কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মনাফের কোনো হদিস না পাওয়ায় রবিবার মনাফের ভাই আজির উদ্দিন কুলাউড়া থানায় একটি জিডি করেন।
[৭] এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় এ প্রতিবেদকে বলেন, এ মামলায় ৭জনকে আসামি করে ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ১জন পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত। তিনি বলেন,মনাফের লাশ বুধবার ১৬ ডিসেম্বর সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং আসামি ৬জনকেও মৌলভীবাজার কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বে মনাফকে তারা খুন করে লাশ গুম করে দেয়।