শিরোনাম
◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৩৬ দুপুর
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হেফাজত মহাসচিবের জানাজার স্থান পরিবর্তন

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমীর নামাজে জানাজা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের পরিবর্তে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার রাত ১০টার দিকে বারিধারা মাদ্রাসায় হেফাজতের অর্থ সম্পাদক এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী এ কথা জানান।

করোনা আক্রান্ত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মারা যান নূর হোসাইন কাসেমী। যদিও হেফাজত মহাসচিবের প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমেদ দাবি করে আসছিলেন যে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া তার ফুসফুসে আগে থেকেই সমস্যা ছিল।

গত ১ ডিসেম্বর শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অসুস্থতাবোধ করলে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

মৃত্যুর আগে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, বেফাকের সহসভাপতি ও আল-হাইয়া বোর্ডেরও কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

আল্লামা কাসেমী ১৯৪৫ সালের ১০ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার চড্ডা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

বর্ণাঢ্য শিক্ষাজীবনে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে পড়ার উদ্দেশ্যে ভারতে যান। পরে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে না পেরে ভর্তি হন ভারতের সাহারানপুর জেলার বেড়ীতাজপুর মাদ্রাসায়। সেখানে জামাতে জালালাইন (স্নাতক) সমাপ্তির পর দারুল উলুম দেওবন্দে চলে যান। দেওবন্দ মাদ্রাসায় তার অধ্যয়নকাল মোট ৩ বছর। সেখানে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) সমাপ্তির পর আরবি সাহিত্য ও দর্শনে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন তিনি।

১৯৮৮ সালে তিনি জামিয়া মাদানিয়া এবং ১৯৯৮ সালে জামিয়া সোবহানিয়া মাহমুদ নগর প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের শায়খুল হাদীস ও মহাপরিচালক ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি প্রায় ৪৫টি মাদ্রাসা পরিচালনার কাজে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি খতমে নবুয়ত আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

সূত্র: সময়টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়