হারুন-অর-রশীদ: [২] সপ্তাহজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবন।
[৩] শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টাতেও দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুঁয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে সড়কগুলিতে কমে গেছে যান চলাচল। বাজার-ঘাটেও কমেছে মানুষের আনাগোনা। তবে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকান গুলিতে খেটেখাওয়া মানুষের ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।তীব্রশীতের কারণে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারীরা।
[৪] হাসপাতাল গুলোতে বেড়ে গেছে রোগীর সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে শিশু ও শ্রমজীবী মানুষ। অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে জীবনযাত্রা থমকে গেছে শ্রমজীবী মানুষের। কাজকর্মে গতি কমে যাওয়ায় অনেকের রোজগার কমে গেছে।
[৫] সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়া, বেলা ১ টাতেও ঘনকুঁয়াশায় আচ্ছন্ন চারিদিক। কোথাও দেখা মেলেনি সুর্যের। অধিকাংশ রাস্তায় ঘন কুঁয়াশায় যাত্রী ও মালবাহী যানগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় কাঁপছে এই জেলার হাজারো নিম্ন আয়ের মানুষ। খেটেখাওয়া মানুষ গুলি জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হয়েছে।
[৬] শীত থেকে বাঁচতে তার সাধ্য অনুযায়ী নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছেন গরম কাপড়ে। তবে গরম কাপড় না থাকায় অনেকে হালকা কাপড় পরিধান করে বেড়িয়ে পড়েছেন খাবারের সন্ধানে। আবার অনেকই শীতবস্ত্রের অভাবে তাকিয়ে রয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি সহায়তার অপেক্ষায়। অনেককেই দেখা গেছে খড়-খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে।
[৭] কথা হয় আলমগীর নামের এক ভ্যান চালকের সঙ্গে তিনি বলেন,‘সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছি শীতের কারণে এখন পর্যন্ত যাত্রীর দেখা মিলছে না। সারাদিন এ রকম থাকলে যাত্রী পাবো না।’
[৮] মনোয়ার মাতুব্বর নামের এক দিনমুজুর বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে ঘনকুঁয়াশা আর কঠিন শীত পড়ছে। শীতের কারণে মাঠে কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।’
[৯] জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। শীত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সম্পাদনিা: জেরিন আহমেদ