শিরোনাম
◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:২৪ দুপুর
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:২৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মার্কেট ভেঙে দেওয়ায় ফুটপাতে গুলিস্তানের ব্যবসায়ীরা

অনলাইন রিপোর্ট: নকশা বহির্ভুত হওয়ায় ভেঙে দেওয়া হয়েছে দোকান। মালামাল নিয়ে মরিয়া ব্যবসায়ীরা নেমে এসেছেন রাস্তায়। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া মার্কেটে একদিকে যখন চলছে তৃতীয় দিনের উচ্ছেদ অভিযান, তখন রাস্তায় বসেই পণ্য বিক্রির চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন দোকানদার ও কর্মচারীরা। যদিও এক পর্যায়ে সেখান থেকেও সরে যেতে হয় তাদের। সময় টেলিভিশন

সকাল সকালই হকারদের হাঁকডাক আর ক্রেতাদের আনাগোনা ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের সামনের সড়কে। তবে এরা কেউ আদতে হকার নন। নকশা বহির্ভুত দোকান কিনে প্রতারিত হয়ে হারিয়েছেন রুটি রুজি ও আশ্রয়। তাই মালামাল নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসেছেন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের শত শত ব্যবসায়ী।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীত মৌসুমই তাদের ব্যবসার জন্য মোক্ষম সময়। আর শীত মৌসুম চলে গেলে এসব কাপড় ফের ৮ থেকে ১০ মাস গুদামে রেখে দিতে হবে।

ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের তো দোকান-পাট ভেঙে দিয়েছে, শীতের ভেতর মাল থেকে গেলে আরও আট মাস থাকতে হবে। যার কারণে এখন আমাদের ফুটপাতে নামতে হয়েছে।’

অন্য আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই শীতের ব্যবসা দিয়েই আমাদের সারা বছর চলা লাগে। এইটাই আমাদের পুঁজি।'

আরও একজজন বলেন, আমাদের যা টাকা-পয়সা ছিল সব আমরা এই শীতকালের মাল কিনে আনতে ইনভেষ্ট করেছি। এখন আমাদের সমস্ত ইনভেষ্ট এখানে আটকায়ে আছে। আমরা যারা বৈধ ব্যবসায়ী ভেতরে আজকে তিনদিন আমাদের বিদ্যুৎ নেই, দোকানও বন্ধ, আর এক সপ্তাহ যদি এভাবে চলতে থাকে আমরা ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।'

এ পরিস্থিতির জন্য আগের নগর প্রশাসনের পাশাপাশি দোকান মালিক সমিতির নেতাদের দুষছেন তারা।

একজন দোকান মালিক বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় দোকান নিতে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, পরে মেয়র দোকান তালা মারলে সেটা খুলতে আমাকে ৮ লাখ টাকা দিতে হয়েছে, এবং ভাড়া বাবদ টাকা দিয়েছি ২ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা।'

বেলা সাড়ে ১২টার পর ফুটপাত থেকে ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দিয়ে শুরু হয় তৃতীয় দিনের উচ্ছেদ। নগর কর্তৃপক্ষ এসময় সংক্ষুব্ধদের প্রয়োজনে দুদক বা আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, যদি সঠিকভাবে তারা কাগজপত্র জমা দিয়ে থাকে, তাহলে দুদক আছে অথবা থানায় অভিযোগ করতে পারে যে নিয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।'

উচ্ছেদ ত্বরান্বিত করতে রোববার থেকে অভিযানে যুক্ত হবে বিআডব্লিউটিএ’র একটি শক্তিশালী এক্সাভেটর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়