শাহীন খন্দকার: প্রখ্যাত নিউরো সার্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া আরও বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের উপর আঘাত মূলত মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত করা হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক। কিছু সংখ্যক ধর্মান্ধ উগ্র মৌলবাদীরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপরে আঘাত করে বাংলাদেশকে বারবার পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা কোনোদিন সফল হয়নি।
অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, মৌলবাদী অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই তাদের প্রতিহত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যে খুন ষড়যন্ত্রকারী চক্র বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করেছিল, ২০০৪ সালের একুশে আগস্টে যারা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল সেই চক্রই আজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ যখন করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিশ্ব মহামারীর মধ্যেও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই সময়ে ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের উপর আঘাত করে নতুন ইস্যু তৈরি করে বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে চায়।
দেশের চিকিৎসক সমাজ স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন। বর্তমানে করোনাভাইরাসের মাঝেও তাঁদের উপর অর্পিত মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শতাধিক চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন।
দেশের স্বাধীনতার উপরে আঘাত এলে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অসম্মান করা হলে দেশের চিকিৎসক সমাজ যেকোনোমূল্যে তা প্রতিহত করবে।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে তিনি একথা বলেন।
এসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মসূচীতে সম্মানিত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।